প্রাণের ৭১

সংসদে কৃষিমন্ত্রী অনুর্বর জমি শিল্প ও বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে

স্থায়ী পতিত ও অন্যান্য অনুর্বর জমি শিল্প ও বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তবে দুই ও তিন ফসলী জমি যাতে অকৃষি খাতে চলে না যায়, সে ব্যাপারে স্থানীয় জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি আরো জানান, সারা দেশে এক ফসলী জমির পরিমাণ ২২ লাখ ৫২ হাজার ৪৩৮ হেক্টর। দুই ফসলী জমির পরিমাণ ৩৯ লাখ ১৩ হাজার ৬৪১ হেক্টর। এছাড়া দেশে তিন ফসলী জমির পরিমাণ ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৭১ হেক্টর।

একই প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, যে সকল জমিতে তিন ফসল হয় সে সকল জমি কৃষি কাজের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে এবং কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। জেলার দুই ও তিন ফসলী জমি, যাতে অকৃষি খাতে চলে না যায়, সে ব্যাপারে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি হচ্ছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জিংক ব্যাংক ঐতিহ্যবাহী বালাম জাতীয় ধানের মোট ২৭টি জাত সংরক্ষিত আছে। তাছাড়া দেশীয় অন্যান্য স্থানীয় সকল জাতগুলোও উক্ত জিংক ব্যাংকে সংরক্ষিত আছে। উক্ত জাতগুলো ২৫ বছর, ৫০ বছর, ৭৫ বছর ও ১০০ বছর মেয়াদে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজনে জাত উন্নয়নে উক্ত স্থানীয় জাতগুলো গবেষণা কাজে ব্যবহার করা হয়। বালাম ধানের গুনাগুণ উচ্চফলনশীল ধানের মধ্যে সংযোজনমূলক গবেষণা জোরদার করা হয়েছে।

সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে বেগম মতিয়া চৌধুরী জানান, বর্তমানে সারা দেশে মোট আবাদযোগ্য কৃষি জমির পরিমাণ ৮৫ লাখ ৭৭ হাজার ৫৫৬ হেক্টর, মোট সেচকৃত জমির পরিমাণ ৭৪ লাখ ৪৮ হাজার ১০০ হেক্টর। অর্থাৎ সেচের আওতায় জমির পরিমাণ শতকরা প্রায় ৮৭ ভাগ। বাকি ১৩ ভাগ জমি সেচের আওতার বাইরে রয়েছে। সেচের আওতায় বাইরের কৃষি জমিসমূহ সেচের আওতায় আনার জন্য সরকার দেশের বিভিন্ন জায়গায় রাবার ড্যাম নির্মাণ, ভূ-উপরিস্থ পানি সংরক্ষণাগার স্থাপন, সেচ যন্ত্রপাতি সহজলভ্যকরণ ইত্যাদির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*