প্রাণের ৭১

সবাইকে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহবান এইচ টি ইমামের

আওয়ামী লীগ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো চেয়ারম্যান এবং প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম আগামীকাল ভোট কেন্দ্রে গিয়ে সবাইকে নিজ নিজ ভোটাধিকার প্রয়োগের আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সবাই ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে আসুন। সবাই ভোট দিন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকালের নির্বাচন শুধু আওয়ামী লীগ কিংবা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্য নয়। গোটা বাঙালী জাতি ও গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
এইচটি ইমাম আজ শনিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এই আহবান জানান।
‘উৎসব নয়, নির্বাচন নিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেখেন ঢাকা শহর ফাঁকা হয়ে গেছে। অধিকাংশ মানুষ ভোট দিতে গ্রামে চলে গেছে। এটাতো একটা উৎসব। যদি উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি না হত, তাহলে কি ঢাকা শহর থেকে এতো মানুষ গ্রামে ভোট দিতে যেত?’
দেশ সেবার জন্য নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করে এইচটি ইমাম বলেন, ‘আমরা মনে করি বাঙালী জাতি আগামীকাল স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধির প্রতীক নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে জয়যুক্ত করে বাংলাদেশের জনগণের সেবা করার সুযোগ প্রদান করবে।’
তিনি বলেন, বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সংঘবদ্ধভাবে গেরিলা কায়দায় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে কেন্দ্র দখলের হুমকি দিয়েছে। তারা একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট উৎসবকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের অর্থায়নে ব্যাপক সহিংসতা ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে ভোটারদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর চক্রান্ত চালাচ্ছে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা ডিসেম্বর মাস জুড়ে সন্ত্রাস ও নাশকতামূলক অনেক সন্ত্রাসী কর্মকা- চারিয়েছে অভিযোগ করে এইচ টি ইমাম বলেন, তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে আওয়ামী লীগের ৭ জন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন ৪৬১ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী, ১৮৯টি আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাংচুর করা হয়েছে, ৫৮টি স্থানে বোমা হামলা ও গুলি বর্ষণ করা হয়েছে, ৯৩টি কার্যালয়ে অগ্নি সংযোগ করা হয়, ৫টি জায়গায় পুলিশের উপর হামলা করা হয় এবং ঠাকুরগাঁয়ের একটি স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা চালানো হয়।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামাত অশুভ জোট নির্বাচনকে সামনে রেখে ভয়াবহ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে পারে। আগামীকাল সারাদেশে নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টি করতে পারে। এমনকী ভুয়া ব্যালট পেপার ছাপিয়ে নিজেরাই একটি ভুয়া বুথ তৈরি করে নকল ভিডিও বানিয়ে গুজব সৃষ্টি করতে পারে বলে সামাজিক গণমাধ্যমে তথ্য পাওয়া গেছে।
সশস্ত্র বাহিনীকে নিয়ে বিএনপি নেতাদের দেওয়া বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে, বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট আমাদের জাতীয় সশস্ত্র বাহিনীকে নিয়ে নানা রকম আপত্তিজনক ও বিতর্কিত বিবৃতি ও মন্তব্য প্রচার করছে। আমরা ইতোমধ্যে বলেছি, জাতীয় সশস্ত্র বাহিনী আমাদের রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের প্রতীক।
আগামীকালের নির্বাচন বাঙালী জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন শুধু আওয়ামী লীগ কিংবা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্য নয়। গোটা বাঙালী জাতি ও গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি ভোট নিশ্চিত করবে- পদ্মাসেতু, দ্রুতগতির বুলেট ট্রেন কর্ণফুলি ট্যানেল-যমুনা ট্যানেলের মতো উন্নয়ন প্রকল্প, ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের কোটি কোটি মেধাবী ও প্রতিভাবান তরুণ-যুবকের কর্মসংস্থানের হাতছানি।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*