প্রাণের ৭১

সেই মাদ্রাসায় আর পড়বেন না নুসরাতের ভাই রায়হান

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ডিগ্রি মাদ্রাসায় দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে পুড়ে না ফেরার দেশে চলে যাওয়া আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি একটি আলোচিত নাম।

ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে জীবন দিতে হলো নুসরাতকে।

আর সেই মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র নুসরাতের ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান। বোনের দুঃসহ স্মৃতির বেদনা নিয়ে বেঁচে আছে সে। ঘুমহীন ক্লান্ত দেহ নিয়ে হাজারো মানুষের ভিড়ে একটু প্রশান্তি খুঁজে রায়হান। বোনের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি তার।

মাদ্রাসাটি কলঙ্কিত মাদ্রাসা আখ্যা দিয়ে রায়হান বলে, কীভাবে ওই মাদ্রাসায় পড়ব? কী জবাব দেব সহপাঠী ও শিক্ষকদের? কীভাবে ভুলব আমার আপুর অসহ্য যন্ত্রণার কথা? আমি আর ওই মাদ্রাসায় পড়ব না।

সে বলে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি বলেছিলেন দাখিল পরীক্ষার পর আমার পড়ালেখার দায়িত্ব নেবেন। দাখিল পাস করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জানাব তিনি সহযোগিতা করলে আমি উন্নত দেশে পড়ালেখা করতে চাই।

রায়হান আরও বলে, আমার বোনের স্মৃতি যেন হারিয়ে না যায়। আমি আশা করছি- দেশবাসীর সহযোগিতায় আমার বোনের প্রতিবাদের এই দৃষ্টান্ত কখনো হেরে যেতে পারবে না।

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি আলিম পরীক্ষা দিতে যান। পরীক্ষার আগে তাকে কৌশলে ছাদে ডেকে নিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত মারা যান।

সরাসরি কিলিং মিশনে অংশ নেয় পাঁচজন। তারা হলো- শাহাদাত হোসেন শামীম, জোবায়ের হোসেন, জাবেদ হোসেন, কামরুন নাহার মণি ও উম্মে সুলতানা পপি। এ ঘটনায় ৮ এপ্রিল রাতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*