প্রাণের ৭১

স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র অর্জনে বিএনপি’র যে অবদান আছে, সেটি আওয়ামী লীগের নেই: রিজভী

মোহাম্মদ হাসানঃ বর্তমান সরকার নিশিরাতে একটি পার্লামেন্ট বানিয়েছে। মনের মাধুরী মিশিয়ে পার্লামেন্টের বিরোধী দল বানিয়েছে। আদালত কিংবা নির্বাচন কমিশন সরকারের মাইক্রোফোন হিসেবে কাজ করছে। সব তাদের হওয়ার পরও প্রতিদিন তাদেরকে কেন বিএনপির বিরুদ্ধে বলতে হচ্ছে? কেন স্বাধীনতার ঘোষক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে হচ্ছে? স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র অর্জনে বিএনপি’র যে অবদান আছে, সেটি আওয়ামী লীগের নেই বলে বললেন বিএনপির সিনিয়র যুগ মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ ১২ ডিসেম্বর শনিবার রাজধানীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনের লিখেও বক্তব্যে তিনি বলেন, র‌্যাব-পুলিশ পরিবেষ্টিত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রতিনিয়ত একটি করে সংবাদ সম্মেলন করেন। আর এই সংবাদ সম্মেলনের একটাই বিষয় বিএনপির বিরুদ্ধে আজগুবি, কল্পিত সব মিথ্যাচার ও কুৎসা উদগীরণ করা।

রিজভী বলেন, এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ বিনা দোষে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে বছরের পর বছর ধরে। তিনি এখন বাসায় থাকলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি মুক্ত নন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, উনার সাজা স্থগিত করা হয়েছে। সাজা স্থগিত হলে তো তাঁর ওপর কোনো বিধিনিষেধ থাকার কথা না। পার্থক্যটা হচ্ছে, শুধু হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে তাঁকে তাঁর বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে। চারবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী যিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ তাঁর ওপর জুলুমের যেন শেষ হচ্ছে না। সরকার দেশনেত্রীকে ভয় পায়। কারণ তিনি সম্পূর্ণ মুক্ত থাকলে সরকারের লাগামহীন লুটপাট-অপকর্মে বিপত্তি ঘটবে এবং নিশিরাতের নির্বাচন করতে পারতো না। এজন্য তাঁকে এখন গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।

যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আরও বলেন, সরকার আইন-প্রশাসন ও আদালতকে নিজেদের মতো করে সাজিয়ে জনগণের নাগরিক স্বাধীনতাকে হরণ করছে। সুতরাং সরকার জবরদস্তিমূলকভাবে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে যতই নিজেদের সাফল্যগাঁথা প্রচার করুক জনগণ এসব বিশ্বাস করে না। জনগণ অবশ্যই এই সরকারের পতন ঘটানোর জন্য ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু প্রমুখ।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*