প্রাণের ৭১

সেদিন বাংলাদেশ হয়ে গেছিল যেন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ

 

 

৫ই মে ২০১৩ইং  এগুলো যুদ্ধ আক্রান্ত  ইরাক, সিরিয়া, মিশরের কোন দৃশ্য নয়,  এগুলো হেপাজত ইসলাম এর সর্দার শফি হুজুরের বাহিনীর কান্ড, তাদের বাহিনী এতটা আক্রমনাত্বক ছিল যে কোন কোন দলের সেখানে যাবার সুযোগ ছিল না।

বইয়ের দোকানে আগুন

 

কোরার পুড়ানো,  ব্যাংকে আগুন,  রাস্তার পুরোনো বড় গাছ গুলো তারা সভা চলাকালীন সময়ে শুরু করছে।  কই এই জগন্য অপরাধ গুলোর জন্য তো হেপাজত ও তাদের সমর্থকেরা কোন প্রতিবাদ করলো না। এই অপরাধের দায় কোনমতে তারা এড়াতে পারে না।

মতিঝিলের শাপলা চক্তরের আশেপাশে বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড ব্যাংক গুলোর অবস্থান, সরকার যদি দ্রত পদক্ষেপ নিয়ে হেপাজত কর্মিদের না সরাতো তা হলে এতদিনে বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ আক্রান্ত দেশ গুলোর মতো হতো।

আর মৃত্যু,  যে দেশে মেজবানে, জাকাতের কাপড় আনতে গিয়ে ভিড়ে চাপা পড়ে লাশের মিছিল হয়। সেখানে কয়েক লাখ মানুষের ভিড়ে কয়েকজন মানুষের মৃত্যু খুবই স্বাভাবিক।

 

পরিশেষে, বলা যায়, বাংলাদেশে ধর্মের নামে মাজার গুলোতে যেমন ব্যাবসা, ধান্ধাবাজী হয়, তেমনি, ধর্মীয় রাজনীতিক দল গুলোও ব্যাবসা করে তারা মানুষের অনুভূতিকে পূজি করে ধর্মীয় ব্যাবসা করে,  আজ শফি,  বাবু নগরীরা কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়, আর তাদের মাদ্রাসার এতিম, নিরিহ দরিদ্র ছাত্ররা দরিদ্র থেকে যায়। আর আমরা ধাঁধাঁয় পড়ে বলি,  সরকার শফিদের ব্যাবহার করে নাকি শফিরা সরকারকে ব্যাবহার করে।

Md Shamsul Arif পেজবুক থেকে।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*