প্রাণের ৭১

‘‌‌অন্তঃসত্ত্বা সফুরাকে জেলে বন্দি রাখা আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী কাজ’

ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করায় সন্ত্রাসবাদ দমন আইনে গ্রেফতার জামিয়ার অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রী সফুরা জারগার জামিনের আবেদন করেছে মার্কিন আইনজীবী সংগঠন ‘দ্য আমেরিকান বার অ্যাসোসিয়েশন সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস’।

 

তিন-তিনবার সফুরার জামিন আবেদন খারিজের পর মার্কিন আইনজীবীদের এই সংগঠনটি এগিয়ে এলো।

 

রোববার এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, সফুরাকে জেলে বন্দি করে রাখা আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী কাজ। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।

 

জানুয়ারি মাসে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সফুরা জারগার।

 

এর প্রায় চার মাস পর সন্ত্রাসবাদী দমন আইন মামলায় গ্রেফতার করা হয় ২৭ বছর বয়সী এই তরুণীকে। তার বিরুদ্ধে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সহিংসতার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়।

 

গত এপ্রিল মাসে সফুরাকে যখন গ্রেফতার করা হয় তখন তিনি ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

 

তিহাড় জেলে বন্দি সফুরা এই মুহূর্তে ২২ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিসঅর্ডারেও ভুগছেন। মানবিকতার ভিত্তিতে তিনবার জামিনের আবেদন করা হয়।

 

সর্বশেষ গত ৪ জন সফুরার জামিন চেয়ে আবেদন করা হলে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট তা খারিজ করে দেয়। বিচারক জানিয়েছেন, সফুরার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে।

 

মার্কিন আইনজীবী সংগঠনটি জানিয়েছে, অনেক আন্তর্জাতিক আইনি চুক্তিতে যোগ দিয়েছে ভারত। সেই সব চুক্তি অনুযায়ী, খুব কম ক্ষেত্রেই অভিযুক্তকে বিচারের আগে বন্দি করা যায়। সফুরার ক্ষেত্রে সেই সব ক্ষেত্র প্রযোজ্য নয়।

 

সংগঠনটির মতে, সফুরা অন্তঃসত্ত্বা। জেলে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কাও রয়েছে। করোনা আবহে বন্দিদের প্যারোলে মুক্তি দেয়ার কথা বিবেচনা করতে নির্দেশ দিয়েছে ভারতের সুপ্রিমকোর্টও।

 

  1. তাদের মতে, সফুরা জামিন পেলে কী ক্ষতি করতে পারেন, তা বলতে পারেনি সরকার পক্ষ। তার বিরুদ্ধে প্রমাণেরও অভাব রয়েছে। তাই তাকে এখনই জামিন দেয়া উচিত।





মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*