প্রাণের ৭১

ভারতে প্রথমবারের মতো একজন নারীর ফাঁসি হতে যাচ্ছে

ভারতের স্বাধীনতার পর এই দেশে এক নারীর ফাঁসির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। মথুরার জেলে সেই মহিলার ফাঁসির জন্য প্রস্তুতি তুঙ্গে। দেশটির উত্তরপ্রদেশের একমাত্র ফাঁসির ঘরটি রয়েছে মথুরার জেলে।

 

সেখানেই আমরোহার শবনম নামে এক নারীর ফাঁসি হতে পারে। নির্ভয়ার দোষীদের ফাঁসিতে ঝোলানো পবন জল্লাদ ইতোমধ্যে দুবার ফাঁসিকাঠের পরীক্ষা করেছেন। ভারতের সুপ্রিমকোর্টে এ ফাঁসির সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ হয়েছে। শবনমের ফাঁসির মওকুফের আবেদন গিয়েছিল দেশটির রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে। অপরাধের নৃশংসতার বিচার করে তিনিও ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছেন।

শবনমের ফাঁসি এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। মথুরা জেলে নারীদের ফাঁসিঘরে শবনমকে ফাঁসি দেওয়া হবে। বহুদিন ধরে অব্যবহৃত সেই ঘর। এমনকী ফাঁসিকাঠের ব্যবহারও এর আগে কখনও হয়নি। তাই জেল কর্তৃপক্ষের চাপ বেড়েছে। ডেথ ওয়ারেন্ট জারি হলেই শবনম নামের সেই নারী অপরাধীর ফাঁসি হবে। তার আগে সমস্ত প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে জেল কর্তৃপক্ষ।

 

এই ঘর তৈরি হয়েছিল ১৫০ বছর আগে। তবে কোনওদিন সেখানে ফাঁসি হয়নি। শবনমের ফাঁসির দড়ি আনা হবে বিহারের বক্সার থেকে। কিন্তু কেন স্বাধীনতার পর প্রথম নারী হিসাবে শবনমকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে! কী তার অপরাধ! কীসের জন্য চরম শাস্তি ভোগ করতে হবে Uttarpradesh-এর এই নারীকে!

 

আমরোহা জেলার হাসানপুরের বাসিন্দা শবনম। বাবনেখেড়ি গ্রামের এক শিক্ষকের একমাত্র মেয়ে শবনম। সেলিম নামের স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে শবনম। সুফি পরিবারের মেয়ে শবনম ইংরেজি ও ভূগোলে এমএম পাশ করেছিলেন। অবস্থাসম্পন্ন পরিবারের মেয়ে।

উল্টোদিকে সেলিম ক্লাস ফাইভ ফেল। দিনমজুর হিসাবে কাজ করত সেলিম। ফলে শবনমের সঙ্গে সেলিমের সম্পর্ক বাড়ির লোক মেনে নেয়নি। ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিলের রাতে প্রেমিক সেলিমের সঙ্গে বাবা, মা, দশ মাসের ভাইপোসহ পরিবারের সাতজনকে খুন করেছিল শবনম। কুঠার দিয়ে পরিবারের সদস্যদের শরীরে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছিল তারা দুজন।

 

 






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*