প্রাণের ৭১

অষ্টম পঞ্চম বার্ষিক পরিকল্পনায় যাতে ফসলি জমি নষ্ট না হয় তাই ইউনিয়ন ভিত্তিক মাস্টারপ্ল্যান করা হবে

মোহাম্মদ হাসানঃ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেকে অষ্টম পঞ্চম বার্ষিক পরিকল্পনা চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসময় প্রধানমন্ত্রী নতুন ইকোনমিক জোন করার ঘোষণা দিয়েছেন। এক কোটি ১৬ লাখ ৭০ হাজার কর্মসংস্থানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে নিয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হলো অষ্টম (২০২১-২০২৫) পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। এরমধ্যে ৩৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে প্রবাসে বাকি ৮১ লাখ ৭০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে দেশে।

আজ ২৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যোগদিয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সভায় অষ্টম পঞ্চম (২১-২৫) বার্ষিক পরিকল্পনা চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় পিছিয়ে পড়া জেলাগুলো থেকে বিদেশে কর্মী পাঠানোর সুযোগ তৈরির লক্ষে সঠিক তথ্য, প্রশিক্ষণ, অভিবাসন ব্যয় মেটাতে ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে। ২০২১ সালে ২১ লাখ ৬০ হাজার, ২০২২ সালে ২২ লাখ ৩০ হাজার, ২৩ সালে ২৩ লাখ ৩০, ২৪ সালে ২৪ লাখ ২০ এবং ২০২৫ সালে ২৫ লাখ ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকার মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ৮ দশমিক ২০ শতাংশ।

একনেক সভা শেষে ব্রিফিং-এ পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, অষ্টম পঞ্চম বার্ষিক পরিকল্পনা চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটা অনুমোদন দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নতুন ইকোনমিক জোন করার ঘোষণা দিয়েছেন। বর্তমানে একশটি ইকোনমিক জোন হচ্ছে। এর বাইরে আরো ইকোনমিক জোন করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে আরো কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দিয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, ফসলি জমি যাতে নষ্ট না হয় এর জন্য ইউনিয়নভিত্তিক মাস্টারপ্ল্যান করা হবে। ল্যান্ড ইউজ প্ল্যান বা ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। অন্য দেশে এই পরিকল্পনা আছে। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আজ নির্দেশনা দিয়েছেন যে, ভূমিভিত্তিক পরিকল্পনা করো সব ইউনিয়নের জন্য। যাতে এখানে-ওখানে ঘরবাড়ি না এটা প্রধানমন্ত্রীর সাধারণ নির্দেশনা। এটাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।

পরিকল্পনা মন্ত্রী আরও বলেন, সবাই বিদেশে চলে যায়, দেশে থাকার জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। যাতে তরুণরা চাকরি দেশের ভেতরেই পেতে পারেন। পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় পিছিয়ে পড়া জেলাগুলো থেকে বিদেশে কর্মী পাঠানোর সুযোগ তৈরির লক্ষে সঠিক তথ্য, প্রশিক্ষণ, অভিবাসন ব্যয় মেটাতে ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে।

অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় পিছিয়ে পড়া অঞ্চলে দারিদ্র সমস্যা মোকাবেলায় কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচিকে উচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া এবং সুবিধাভোগীদের সংখ্যা বাড়ানো হবে। এসব জেলাগুলোতে কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং আয় বৃদ্ধির জন্য কৃষি গবেষণা ও সম্প্রসারণ সেবার ওপর অধিকতর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

তাছাড়া আগামী পাঁচ বছরে নতুন এক কোটি ১৬ লাখ কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ নির্ধারণ করা হচ্ছে। তবে কর্মসংস্থানের এই লক্ষ সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার তুলনায় ১০ লাখ কম। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অনেক লক্ষই পূরণ হয়নি। যেটা অষ্টম পঞ্চমবার্ষিকী পরিকল্পনার মধ্যে ঠাঁই পেয়েছে।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*