প্রাণের ৭১

চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক সুফি উৎসব

চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে দুই দিনব্যাপী তৃতীয় আন্তর্জাতিক সুফি উৎসব আগামী ২৮ মার্চ শুরু হচ্ছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় হাটখোলা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এই উপলক্ষে গতকাল রবিবার সকালে করপোরেশনের কে বি আবদুচ ছাত্তার মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সুফি উৎসবের আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উৎসব কমিটির সভাপতি ও চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

সিটি মেয়র বলেন, ‘জীবনের জন্য সংগীত’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দুই দিনব্যাপী ‘তৃতীয় আন্তর্জাতিক সুফি মিউজিক উৎসব’ এর আয়োজন করা হয়েছে। এই উত্সবে বাংলাদেশসহ মোট পাঁচটি দেশ অংশগ্রহণ করছে। উত্সবে অংশগ্রহণকারী অন্য চারটি দেশ হচ্ছে ভারত, ইরান, মিসর ও নেপাল। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৫০ জন ও অন্য চারটি দেশ থেকে ৪১ জনসহ মোট ৯১ জন সুফি ও লোকসংগীত শিল্পী ও সাধক অংশগ্রহণ করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ২৮ মার্চ বিকেল সাড়ে ৩টায় উৎসবের উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনের পরপরই সুফি সংগীতের মূর্ছনায় মঞ্চ মাতাবে ইরানের সুফি মিউজিক দল, সুফি নৃত্য পরিবেশন করবে মিসরের শিল্পী মোহাম্মেদ গারেব ও তাঁর দল, নেপালের কুটুম্বা, ঝুমুর গান করবে পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী আত্রেয়ী মজুমদার, শিল্পী ফারজানা করিম ও তাঁর দল, ইকবাল হায়দার প্রমুখ।

উৎসবের দ্বিতীয় দিনেও বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হবে। এ দিনে সুফি সংগীত পরিবেশনে থাকবেন ভারতীয় সুফি শিল্পী কবিতা শেট, সুফি নৃত্য পরিবেশন করবেন মিসরের শিল্পী মোহম্মেদ গারেব, শিল্পী হাসান সিহাবী, ফকির সাহাবুদ্দিন, দীপঙ্কর দে প্রমুখ।

আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, এই উৎসব আয়োজনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সংগীতের মাধ্যমে দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও সহনশীলতা বৃদ্ধি করা, যা মানুষের আত্মার অন্যতম খোরাক। উৎসবআয়োজনে যেটি অনুঘটক ও প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে তা হলো, আধ্যাত্মিক বাউল ও লোক গানের সুরের মাধ্যমে শান্তির বাণী প্রচার, যা অনেক ক্ষেত্রে মুখের ভাষায় প্রকাশ অসম্ভব; যেটি এ উৎসবের অন্তর্নিহিত তাৎপর্যও বহন করে।

গতকাল সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উৎসব আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব ইউসুফ মোহম্মদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, শিল্পী ইকবাল হায়দার, মো. জহিরুল আলম, দাউদ আবদুল্লাহ লিটন, মিডিয়া গ্রাফির প্রধান নির্বাহী মিল্টন দাশ বিজয় প্রমুখ।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*