প্রাণের ৭১

বাজারে নয়া দাবি !

এসএমঃ বাজারে নয়া দাবি উঠছে। হুজুরবাদি লোকজনই এই দাবি তুলতেছেন। তাদের দাবী মাদ্রাসা বা তার আশেপাশে হুজুরদের বৌ নিয়ে থাকতে দিলে তারা কচি তালেবুল এলেমদের উপরে তারা আর রাতে উপগত হবেন না বা সমকামিতায় লিপ্ত হবেন না। মাদ্রাসা বাদিরা এই প্রথম একটা সমস্যাকে যৌক্তিকভাবে চিহ্নিত করতে পারছেন। তাদের অভিনন্দন জানাই।

যৌনতা পেটের ক্ষুধার মতই একটা ব্যাপার। ক্ষুধা সর্বগ্রাসী হয়ে উঠলে মানুষ ঘাস, লতা, গাছের পাতা সবই সিদ্ধ করে খায়। এইটা খোদ বাংলাদেশেই চুয়াত্তরের মন্বন্তরে দেখা গেছে। ক্ষুধার চোটে মানুষ নিজের পরিবার, বন্ধু বান্ধবদের মাংস খাইছে এমন উদাহরনও আছে। আধুনিক যুগে এমন একটা ঘটনা চিলির আন্দুজ পর্বত মালায় উরুগুয়ের রাগবি দলকে নিয়ে বহনকারি বিমান দুর্ঘটনার কারনে বিধ্বস্ত হবার পরে বেঁচে যাওয়ারা এমনটা করেছিলেন। সময়টা সম্ভবত ১৯৭৩ সালে।

যৌনতার ক্ষুধাও এরকম সর্বগ্রাসী। কেউ কেউ নিজেকে এই ক্ষুধা থেকে সংযত করতে পারে। কেউ পারে না। আসলে বেশিরভাগই পারে না। তখনই যে সমকামি না সেও তার হাতের নাগালে থাকা কোন অপশন বেছে নেয়। হুজুরদের অনেকের সমকামিতায় লিপ্ত হবার পেছনে এইটাই বড় কারন বলে আমার মনে হয়। এরপরে বেহেস্তি হুরদের যে বর্ননা, হাদিস-কোরানের , তাফসিরে পাওয়া যায়। সেইটা পড়ে মাথা ঠান্ডা রাখা আসলেই মুস্কিল।

এইটা শুধু হুজুরদের ক্ষেত্রে না। সমাজের বাদবাকি মানুষের বেলায়ও সত্যি। যৌনতাকে কেন্দ্র করে বাদবাকি যে অপরাধ তার পেছনেও যৌন অবদমন বড় কারন। চার্চ, মন্দিরেও বালক-বালিকাদের সাথে যৌন নিপীড়ন মূলক আচরনের পেছনেও একই কারন লুকিয়ে আছে। যে সমাজ যত বেশি বদ্ধ সেখানে যৌন অবদমনের ভয়াল রুপ সবচাইতে বেশি। সমাজ মুক্ত করে দেয়া, যৌনতা কেন্দ্রিক পুরানো ধ্যান ধারনা থেকে বের হয়ে নতুন সমাজ বিনির্মান হচ্ছে এর সবচাইতে ভালো সমাধান।



(পরবর্তি সংবাদ) »



মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*