প্রাণের ৭১

‘ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে’

লঞ্চে ওঠার পর নিখোঁজ ব্লগার জুলভার্ন

কবির, যিনি জুলভার্ন নামে বিভিন্ন ব্লগে লিখতেন। এই লেখকের স্বজনরা দাবি করছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় ‘পিএস টার্ন’ নামের একটি লঞ্চে ওঠার পর থেকে জুলভার্নের সন্ধান মিলছে না।

বন্ধ রয়েছে তাঁর মোবাইল ফোনটিও। লঞ্চ ছাড়ার আগে তাঁকে ডিবি পরিচয়ে দুই ব্যক্তি ধরে নিয়ে গেছে—এমন তথ্য পেয়েছে তারা।
এ ঘটনায় শনিবার রাতেই রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং- ১৯৮২) করা হয়েছে।

জুলভার্ন নামে সামহোয়্যারইন ব্লগ ও অন্যান্য ব্লগ সাইটে লেখালেখি করেন হুমায়ূন কবির। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি সার্জিক্যাল ইক্যুইপমেন্টের ব্যবসা করতেন। তিনি রাজধানীর গ্রিন রোডে পরিবারের সঙ্গেই থাকেন।

হুমায়ূন কবিরের স্ত্রী মৌসুমী কবির বলেন, ‘জমিসংক্রান্ত একটি মামলার কাজে শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পিরোজপুর যাওয়ার জন্য বাসা থেকে সদরঘাট যান হুমায়ূন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় লঞ্চটি ছাড়ার কথা ছিল। তারপর রাত ৮টার দিকে ফোন করলে তাঁর মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাই।

এরপর আর ফোনে তাঁকে পাইনি। ’ তিনি বলেন, হুমায়ূন পিরোজপুরগামী পিএস টার্ন লঞ্চের ৭ নম্বর কেবিনের টিকিট কেটেছিলেন। যাওয়ার সময় তাঁর প্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়া মূল্যবান তেমন কিছুই ছিল না।
মৌসুমী কবির বলেন, ‘ফোনে না পাওয়ার পর লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানায় যে আমার স্বামী লঞ্চে উঠেছিলেন। ৭ নম্বর কেবিন পছন্দ না হওয়ায় বয়দের ডেকে কেবিন বদলে নেন। তাঁকে একটি ডাবল কেবিন দেওয়া হয়, সেখানে তাঁর পাশের বেডে ডেইলি স্টার পত্রিকার সাবেক এক সাংবাদিকও ছিলেন। কিন্তু লঞ্চ ছাড়ার পর টিকিট চেক করতে গিয়ে চেকার তাঁকে খুঁজে পাননি। ’

মৌসুমী আরো বলেন, ‘পরে আমার দুই ছেলে লঞ্চে খোঁজ নিতে গেলে দুজন কেবিন বয় তাদের জানায়, লঞ্চ ছাড়ার আগেই হুমায়ূন কবিরকে ডিবি (পুলিশের গোয়েন্দা শাখা) পরিচয়ে দুই ব্যক্তি নামিয়ে নিয়ে যায়। ’

শেরেবাংলানগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুধাংশু সরকার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এ ঘটনায় শনিবার রাতে একটি জিডি করা হয়েছে। তবে এখনো হুমায়ূন কবিরের সন্ধান মেলেনি। আমরা তদন্ত করছি। ’






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*