প্রাণের ৭১

লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে অন্তত ১৫০ অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু

ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে অন্তত ১৫০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে, উদ্ধার করা হয়েছে আরো অন্তত দেড়শ’ জনকে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাজধানী ত্রিপোলির ১২০ কিলোমিটার দূরের আল খোমস থেকে নৌকাটি ছেড়ে এসেছিল বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। বৃহস্পতিবারের নৌকাডুবির ঘটনাকে ভূমধ্যসাগরে সবচেয়ে ভয়াবহ ট্র্যাজেডি আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা UNHCR।

 

 

বৃহস্পতিবার ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া কয়েকজন জানান তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপের উদ্দেশ্যে রাজধানী ত্রিপোলির ১২০ কিলোমিটার পূর্বের আল খোমস শহর থেকে রওনা হয়েছিলেন প্রায় ৩শ জন অভিবাসন প্রত্যাশী। তবে মাঝপথে নৌকাডুবিতে অনেকেরই সেই স্বপ্নের মৃত্যু হয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান তারা বেঁচে ফিরলেও অনেককেই সাগরে ভেসে থাকতে দেখেছেন তারা।

জেলেদের সহায়তায় উদ্ধার শরণার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন মানবিক সহায়তা সংগঠন ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্সের সদস্যরা। তবে তাদের অনেকেই এখনো ট্রমায় ভুগছেন বলে জানান তারা। সংগঠনটির লিবিয়ার প্রধান স্যাম টার্নার জানান, ভূমধ্যসাগরের লিবীয় উপকূলে উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় বেশ হিমশিম খাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা।

বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনায় এত সংখ্যক মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা সঠিক হলে চলতি বছর ভূমধ্যসাগরে শরণার্থীবাহী নৌকাডুবিতে এটিই হবে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যুর ঘটনা। এটিকে ভূমধ্যসাগরের সবচেয়ে ভয়াবহ ট্র্যাজেডি আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা UNHCR.

UNHCR এর মুখপাত্র চার্লি ইয়াক্সলে বলেন, অনেকেই লিবীয় উপকূল থেকে বেঁচে ফিরেছেন। তবে তাদের বেশিরভাগই এখনো মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। ভূমধ্যসাগরে এখন থেকেই উদ্ধার অভিযান তরান্বিত করতে হবে। জীবন বাঁচানোর দিকেই এখন সবচেয়ে বেশি মনযোগী হতে হবে।

ইউরোপের পাড়ি দেয়ার উদ্দেশ্যে ভূমধ্যসাগরে এখনো অনেকে থাকতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করে তাদের খোঁজার পাশাপাশি উদ্ধার অভিযান নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো[multilanguage_switcher layout=”gt-horizontal”]






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*