প্রাণের ৭১

অ্যালার্জি নিয়ে অ্যালার্জি

অ্যালার্জি আমাদের সবার মধ্যে কমবেশি দেখা যায়। এই সমস্যা খুব একটা মহামারী বা প্রকট না হলেও এই রোগ বেশ ভোগায়। যারা ভুক্তভোগী তারা বুঝতে পারে এর সমস্যা কতটা যন্ত্রণার হতে পারে। তবে একেক জনের এই প্রকোপ, লক্ষণ একেক রকমের হয়। তবে রোগ হিসেবে অ্যালার্জি নিয়ে বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন মতভেদ, শঙ্কা বা এককথায় বলা যায় যে অ্যালার্জি নিয়েই অনেকের অ্যালার্জি আছে। এক পলকে দেখে নিই সেগুলো:

১. অনেকেই বলে আমি কোনো টিকা নিতে পারি না কারণ আমার ডিম খেলে খুব অ্যালার্জি হয়।

২. আমার পরিবারে অ্যালার্জির সমস্যা আছে বিধায় আমারও হবে, এ বিষয়ে আমার কিছু করার নেই। এমনকি নিজের থাকলে তাঁর সন্তানও এই অ্যালার্জি নিয়ে বড় হবে।

৩. যব, ভুট্টা, ডট, ময়দা জাতীয় খাবারে গ্লুটেন থাকে। কারও এই গ্লুটেনে অ্যালার্জি হয়। অনেকে এই খাবার এড়িয়ে চলে।

৪. সিজনাল অ্যালার্জি শুধুই সিজনাল। এটা নির্দিষ্ট সিজন বা ঋতুতেই হবে। এবং এটা নির্দিষ্ট সময় পরে শেষ হয়ে যাবে।

৫. অ্যালার্জির ওষুধই নিরাময়ের জন্য সেরা। এটা সেবনেই একমাত্র নিরাময় সম্ভব।

৬. মশার কামড়ের মতো দাগ যখন উঠছে শরীরে তখন আমি অবশ্যই অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয়েছি বা আমার প্রকট অ্যালার্জির সমস্যা হবে।

৭. নাক দিয়ে ক্রমাগত পানি পড়েছে, তাহলে অ্যালার্জি হয়তো ভয়াবহ আকারের হবে।

৮. দুধ জাতীয় খাবার হয়তো শরীরকে গুমোট করে ফেলছে, তাহলে হয়তো অবশ্যই অ্যালার্জির সমস্যা আছে।

৯. বাচ্চাদের একবছর হবার আগেই পিনাট মাখন জাতীয় খাবার খাওয়া ঠিক নয়।

১০. অ্যালার্জি আসলে কোনো রোগ নয়। আর এটি মুলত পুরোপুরি শারীরিক অসুখ। আর অনেকের নাকি ওষুধেও অ্যালার্জি হয়।

১১. রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই অ্যালার্জি শনাক্ত করা হয়। বিকল্প চিকিৎসা তেমন কোনো কাজের নয়।

১২. প্রাকৃতিক এবং অর্গানিক খাবার কখনো অ্যালার্জির কারণ হতে পারে না।

১৩. সিজনাল অ্যালার্জি এবং খাবার অ্যালার্জি একটির সঙ্গে আরেকটির সম্পর্ক নেই।

১৪. দুধে অ্যালার্জি আছে বলে আইসক্রিমও খাওয়া যাবে না।

১৫. দুই বছরের কম বয়সী এবং বৃদ্ধদের জন্য অ্যালার্জি টেস্ট তেমন কোনো কাজে দেয়না।

সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট



« (পূর্বের সংবাদ)



মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*