প্রাণের ৭১

আওয়ামী লীগ নেতাদের মাঠ পর্যায়ে যোগাযোগ রক্ষা করে চলতে বললেন শেখ হাসিনা

মোহাম্মদ হাসানঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি,প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বলেছেন, মাঠ পর্যায়ে মানুষের সাথে যোগাযোগটা রক্ষা করে চলবেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন এই জনগণকে একটা উন্নত জীবন দিতে সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই হোক মুজিব বর্ষে আমাদের বড় অঙ্গীকার।

আজ ৩ অক্টোবর শনিবার সকাল ১০ঘটিকায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে মাত্র ৩২ জন নেতা এ বৈঠকে যোগ দেন ।

বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, করোনার শুরুতে একমাত্র আওয়ামী লীগই জনগণের পাশে ছিল এবং জনগণকে সহযোগীতা করেছে। করোনা সংকটে প্রমাণ হয়েছে আওয়ামী লীগ জনগণের দল এবং জনগণের পাশে থাকে।

তিনি বলেন, সরকারের সঠিক কর্মপরিকল্পনা এবং পদক্ষেপের কারণে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে এবং অন্যান্য দেশের চেয়ে ভাল অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন যে, অন্যান্য দেশগুলো যখন করোনায় ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়েছে সেই সময় বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনেক ভাল।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, করোনার পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের পার্টির কাজগুলো মোটামুটি কিছু কিছু জায়গায় সচল রয়েছে। নির্বাচনগুলো হয়েছে। আমি মনে করি, খুব বেশি চলাচল না করলেও কিছু সাংগঠনিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন জায়গায় আমাদের হয়তো সম্মেলন হয়েছে, কিন্তু করোনার কারণে আমরা আর কমিটি করতে পারিনি বা কারো খোঁজও নিতে পারিনি, যেতেও পারেনি, আমার এখন মনে হয় আস্তে আস্তে সেগুলোর কাজ করতে পারবো। সাংগঠনিক শক্তিটা হচ্ছে সবচেয়ে বড়। আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের সাংগঠনিক শক্তি আছে, এই করোনা মোকাবিলার সময় তারা যখন মাঠে নেমেছে তখন সেটা প্রমাণিত হয়েছে। আজকে যে কারণে আমাদের প্রায় ৫২২ জন নেতাকর্মী মৃত্যুবরণ করেছে। এই যে এতো বড় ত্যাগ বোধ হয় আর কোনো দল করেনি। তারা লিভ সার্ভিস দিয়েছে। আর আমি তো প্রাইভেট টেলিভিশন দিয়েছি, রেডিও দিয়েছি, অনেক পত্রিকা দিয়েছি, যে যার মতো আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে বলেই যাচ্ছে, কিন্তু তাদেরকে মাঠে মানুষের পাশে দেখা যায়নি। তারা কেউ আবার বিচার করে, আওয়ামী লীগ কতটুকু করলো, কতটুকু করলো না, কিন্তু তারা আয়নাতে নিজের চেহারা দেখে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নতির জন্যই জাতির পিতা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। সেই স্বাধীনতার সুফলটা যেন প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছায়, আমরা যেন দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পারি, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

নির্বাচন ঠেকানোর নামে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কার্যক্রম তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ বিভিন্ন সময় আমাদের এই দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়েছে। এর আগে আমরা দেখেছি, বিএনপি জামায়াত জোটের অগ্নিসন্ত্রাস। ব্যাপকভাবে তারা আগুন দিয়ে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। তাদের ওই ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপও আমরা দেখেছি। কিন্তু সেগুলো আমরা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। সবাইকে আমরা সহযোগিতা করেছি। যারা ক্ষতিগ্রস্ত এখনো তাদের খোঁজ নিচ্ছি। এবং যেখানে যতটুকু পারি তাদের সাহায্য আমরা করে যাচ্ছি। আমরা মানুষের পাশে আছি, মানুষের পাশে থাকবো। আমি দেশবাসীকে এইটুকু বলতে চাই যে, জনগণের সংগঠন হচ্ছে আওয়ামী লীগ, আর আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে আছে এবং সেটা এবারও এই দুর্যোগে প্রমাণ হয়েছে। জনগণের আস্থা বিশ্বাসটা হচ্ছে আমাদের একমাত্র সম্বল, সেটাই আমাদের শক্তি।

কার্যনির্বাহী সংসদের নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের কার্যনির্বাহী সংসদের সকল সদস্যকে আমরা ডাকতে পারেনি। হয়তো পরবর্তী মিটিংয়ে এবার যারা আসতে পারেনি তাদের ডাকব। আপনাদের মূল্যবান মতামতও শুনতে চাই, অভিজ্ঞতাও শুনতে চাই, আগামী দিনে কি করণীয় সেটাও জানতে চাই এবং মাঠ পর্যায়ে মানুষের সাথে যোগাযোগটা রক্ষা করে চলবেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন এই জনগণকে একটা উন্নত জীবন দিতে সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই হোক মুজিব বর্ষে আমাদের বড় অঙ্গীকার।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*