প্রাণের ৭১

আবারো সড়কে ছাত্রের মৃত্যু, বাসে অগ্নিসংযোগ।

রাজধানী ঢাকার রামপুরায় পাল্লা দেওয়া দু’টি বাসের একটির চাপায় এক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর বেশ কয়েকটি বাস পুড়িয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা, ভাঙচুরও করেছে আরও কয়েকটি বাস।

 

সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে গ্রিন অনাবিল পরিবহনের একটি বাসের চাপায় ওই শিক্ষার্থী মারা যান। এর পরপরই জনতা বাস আটকে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে।

 

নিহত তরুণের নাম মাইনুল ইসলাম বলে জানা গেছে। তিনি স্থানীয় একরামুন্নেসা স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। তার বাবার নাম রহমান ভান্ডারি, তাদের বাসা পূর্ব রামপুরা তিতাস রোড। বিডিনিউজ

 

তার বড় ভাই ব্যবসায়ী মো. বাদশা ইসলাম বলেন, “আমার ভাইসহ তিন বন্ধু ডিআইটি রোডের সোনালী ব্যাংকের সামনের সড়ক দিয়ে পার হচ্ছিল। তখনই এই ঘটনা ঘটে।”

 

পূর্ব রামপুরার বাসিন্দা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নেসার হোসেন বলেন, “অনাবিল পরিবহনের একটি বাস এসে তাদের চাপা দেয়। এতে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মাইনুল মারা যান। গুরুতর আহত হন আরেকজন। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ মাইনুলের তিতাস রোডের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।”

 

মালিবাগের পাবনা কলোনির বাসিন্দা জীবন চৌধুরী বলেন, “বাসের চাপায় ওই শিক্ষার্থীর দেহ সড়কে একেবারে পিষে যায়। পরে উত্তেজিত জনতা গ্রিন অনাবিলের বাসটিসহ কয়েকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দিতে শুরু করে।”

 

তখন যোগাযোগ করা হলে রামপুরা থানার এসআই তাপস কুমার জানান, রাত ১০টার দিকে সড়কে বাসের চাপায় এক তরুণের নিহত হওয়ার খবর পেয়ে থানার কর্মকর্তারা সেখানে গেছেন।

 

রাত পৌনে ১২টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে আটটি বাস আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় দেখা যায়।

 

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যোগাযোগ করা হলে ডিউটি অফিসার এরশাদ আলী জানান, রামপুরা সড়কে নয়টি বাসে আগুনের খবর পেয়ে তাদের বাহিনীর কয়েকটি ইউনিট আগুন নেভাতে গেছে।

 

রাত ১টার দিকে মাইনুলের বাসা থেকে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ।

 

মাইনুলের বড় ভাই বাদশা বলেন, “অনাবিল ও রাইদা পরিবহনের দু’টি বাস পাল্লা দিতে গিয়ে আমার ভাইয়ের উপর উঠে যায়। আমি দুই পরিবহনের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।”

 

সোমবার দুপুরেও রামপুরায় রাইদা পরিবহনের ৪০টি বাস আটক করেছিল ইম্পিরিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এক সহপাঠীকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ওই বাসগুলো আটকেছিল তারা।

 

পরে পুলিশের উপস্থিতিতে বাস মালিকদের সঙ্গে সমঝোতায় বিকালে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*