প্রাণের ৭১

আসিফা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার চার্জশিট, উঠে এল কিছু নতুন তথ্য!

কাশ্মীরে আসিফা বানুর মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে জল অনেকদূর গড়িয়েছে। ৮ বছরের আসিফা বানুকে মন্দিরের ভিতর দীর্ঘদিন ধরে বন্দি করে রেখে
নৃশংস ভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। এরকম একটি হিংসাত্মক ঘটনার পরেও হিন্দুত্ববাদী দল ধর্ষকদের সমর্থনে মিছিল বের করেছে। যা নিয়ে
প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে।

সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া পুলিশের চার্জ শিট যা কোর্টে ট্রায়াল হিসেবে পেশ করা হয়েছে তাতে অনেক নতুন তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, জম্মু ও
কাশ্মীর সরকারের দুই বিজেপি মন্ত্রী চৌধুরী লাল সিং এবং চন্দর প্রকাশ গঙ্গা ধর্ষকদের সমর্থনে যে মিছিল বেরিয়েছিল সেই মিছিলে ছিলেন।

কাশ্মীরে সাম্প্রদায়িকতার অস্বস্তিমূলক পরিবেশের মধ্যেও একজন কাশ্মীরি পণ্ডিত পুলিশ অফিসার এই অমানবিক ঘটনার তদন্ত চালিয়ে গিয়েছেন। তিনি রমেশ কুমার জাল্লা, ক্রাইম ব্রাঞ্চের সর্বোচ্চ পুলিশ সুপার। ঘটনার যথেষ্ট প্রমাণ না পাওয়া যাওয়া অবধি তদন্ত চালিয়ে গিয়েছেন এবং ৯ এপ্রিল কোর্টে চার্জশিট জমা দেন। ৯০ দিনের সময়সীমা থাকলেও ১০ দিন আগেই হাইকোর্টে চার্জশিট পেশ করা হয়।

চার্জশিটে অভিযুক্তদের তালিকায় চারজন পুলিশ এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরিজীবীর নাম ছিল। আসিফা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার মূলে
এদেরই হাত ছিল বলে দাবি করা হয়েছে চার্জশিটে।

আসিফার পরিবার কাশ্মীরের ‘বাখারওয়াল’ সম্প্রদায়ের অন্তর্গত। ‘বাখারওয়াল’রা কোথাও স্থায়ীভাবে বসবাস করেন না। আসিফা যে সময় থেকে
নিখোঁজ হয়েছিল তার কিছুদিন আগেই তার পরিবার পূ্র্ব জম্মু থেকে ৪৫ কিমি দূরে পাহাড়ের উচ্চভূমিতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। চার্জশিটে বলা
হয়েছে বাখারওয়ালদের সেই জায়গা থেকে উৎখাত করার জন্যই হিন্দুবাদী দলের এই পরিকল্পনা।

আর কে জাল্লা, যিনি এই কেসের কর্মকর্তা তিনি তদন্তের কাজে জম্মুতে রাজ্য ক্রাইম ব্রাঞ্চে গিয়েছিলেন। নাভিদ পীরজাদা নামের এক পুলিশ যুবক
তাঁকে খুবই সাহায্য করেন। বিস্ময়কর, জটিল কেস সমাধানের ক্ষেত্রে নাভিদের সুনাম আছে।

প্রথমে জাল্লা ও নাভিদ কারওই ধারণা ছিল না, দফতরেরই অনুজ অফিসাররা এই ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। অভিযুক্তরা পুলিশি হেফাজতে
থাকাকালীন ব্যাপারটিকে স্থানীয় কিশোরের ‘কামোন্মাদনা’ বলে চেপে যেতে গিয়েছিল।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*