প্রাণের ৭১

কাতার থেকে দেশে ফিরেই গ্রেপ্তার ‘শিবির ক্যাডার’ সারোয়ার

চট্টগ্রামের দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার হিসেবে পরিচিতি সারোয়ার হোসেন ওরফে সরওয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

শনিবার দুপুরে কাতার থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সারোয়ারকে চট্টগ্রামে ফিরিয়ে নিতে চট্টগ্রাম থেকে পুলিশের একটি টিম ঢাকায় পৌঁছেছে।

 

সারোয়ার শিবিরের দুর্ধর্ষ ক্যাডার সাজ্জাদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। ২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট জামিনে বের হয়ে কাতার চলে যান সারোয়ার ও আরেক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী নুরুন নবী ওরফে ম্যাক্সন। চট্টগ্রামের অপরাধ জগতে তারা মানিকজোড় হিসেবে পরিচিত।

 

অভিযোগ রয়েছে, কাতারে বসে অনুসারীদের মাধ্যমে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করতেন এই দুইজন। গত বছরের ২৪ অক্টোবর তাদের হয়ে নগরের বায়েজিদ থানা এলাকায় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

 

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) বিজয় কুমার বসাক সমকালকে বলেন, ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী সারোয়ারের বিরুদ্ধে অনেকগুলো ওয়ারেন্ট রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে বিমানবন্দরসহ দেশের সবগুলো থানায় চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী কাতার থেকে বাংলাদেশে পৌঁছালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। খবর পেয়ে একটি টিম ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’

 

বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কায়কোবাদ কাজী সমকালকে বলেন, ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী সারোয়ার দুপুরে বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশকে জানানো হয়েছে। তাদের টিম এসে পৌঁছালে তাকে হস্তান্তর করা হবে।’

 

পুলিশ সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ৬ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে নুরুন নবী ওরফে ম্যাক্সন ও চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকা থেকে সারোয়ার ও গিট্টু মানিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একে-৪৭ রাইফেল ও গুলি। বর্তমানে ভারতের কারাগারে বন্দি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শিবির ‘ক্যাডার’ সাজ্জাদ হোসেন খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে একসময় পরিচিত ছিলেন সরোয়ার ও ম্যাক্সন। পরে তাদের সম্পর্কের অবনতি হলে কারাগারে থাকা শিবিরের আরেক সন্ত্রাসী নাছিরের অনুসারী হয়ে ওঠেন তারা।

 

২০১৩ সালে কারাগারে থাকা অবস্থায় সাজ্জাদের সঙ্গে সারোয়ার ও ম্যাক্সনের দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠলে নাছিরকে চট্টগ্রাম থেকে কাশিমপুর কারাগারে এবং সরোয়ার, ম্যাপক্সনকে চট্টগ্রাম কারাগারের আলাদা ওয়ার্ডে রাখা হয়। প্রায় ছয় বছর কারাগারে থাকার সময়ও সারোয়ার ও ম্যাক্সন তাদের অনুসারীদের দিয়ে বায়েজিদ এলাকায় চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ করতেন

সমকাল






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*