প্রাণের ৭১

কেন দেশ ছাড়ছেন তনুশ্রী?

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতে হঠাৎ করে শুরু হয় যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে আন্দোলন। এই আন্দোলন ধীরে ধীরে দাবানলে রূপ নেয়। প্যান্ডোরার বাক্সে জমে থাকা অভিযোগ একে একে সামনে আনতে শুরু করেন ঘটনার শিকার নারীরা। অভিযোগ প্রকাশের কেন্দ্র হিসেবে বেছে নেন সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমকে। ‘হ্যাশট্যাগ মি টু’ দিয়ে অভিযুক্তের নামসহ ঘটনা তুলে ধরতে থাকেন। অভিযোগের তালিকায় উঠে আসে সমাজের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম। বিশেষ করে বলিউডের অনেক অভিনেতা পরিচালক, প্রযোজক ও সংগীতশিল্পীর নাম। কিন্তু যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে আন্দোলন যাঁর হাত ধরে দাবানলে রূপ নেয়, সেই অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত আজ ভারত ছাড়ছেন। কিন্তু কেন?

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন ‘আশিক বানায়া আপনে’ খ্যাত তারকা তনুশ্রী দত্ত। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের কাছে দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেওয়ার কথা বলেন। তাঁর কথায়, ‘আমার ভবিষ্যৎ ঘুমায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে। আগামী বছরের শুরুতেই চলে যাচ্ছি। সেখানেই তো থাকতে শুরু করেছিলাম। যখন মুম্বাই আসলাম, তখন ভেবেছিলাম মাস খানেক পর ফিরব। কিন্তু এখন তো প্রায় পাঁচ মাস হতে চললো।’

কিন্তু যৌন হয়ারানির বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের মাঝে কেন তিনি দেশ ছাড়ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তনুশ্রী জানান, যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে আন্দোলনের পরিস্থিতি এখন ঠাণ্ডা কি গরম, তার চাইতে বড় কথা হচ্ছে এটি এক ধরনের বিপ্লব। এই আন্দোলন ভবিষ্যতে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করবে যখন কোনো যৌন হয়ারানির ঘটনা ঘটবে না। ‘হ্যাশট্যাগ মিটু’ আর সংবাদের শিরোনাম হবে না। এখানে আমার থাকা না থাকায় কিছু আসে যায় না।’

এরপর নিজের করা মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘দেশে বলবত আইন অনুযায়ী বিচার কাজ চলবে। তাহলে এটা কেমন আইন আদালত হলো যেখানে আমাকে উপস্থিত থেকে ন্যায্য বিচারের দাবিতে পুশ করতে হবে!’

উল্লেখ্য, অভিনেতা নানা পাটেকার ২০০৮ সালে ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির শুটিংয়ের সময় তাঁকে যৌন হয়রানী করেছিলেন বলে অভিযোগ তোলেন তনুশ্রী। একই অভিযোগ তিনি পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধেও করেন। এসব নংরামির জন্যই নাকি তিনি এক সময় বলিউড থেকে দূরে সরে যান এবং যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে শুরু করেন।

সূত্রঃ হিন্দুস্তান টাইমস






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*