প্রাণের ৭১

‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকের বদিভাই আর নেই: প্রধানমন্ত্রীর শোক

মোহাম্মদ হাসানঃ প্রয়াত কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমদের ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকে বদিভাই চরিত্রে অভিনয় করে সারা বাংলায় সকলের প্রিয় অভিনেতা হয়ে উঠা আবদুল কাদের আর নেই।

আজ ২৬ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি … রাজিউন)। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ের পিতা । এ ছাড়া তিনি রেখে গেছেন নাতি-নাতনি স্বজন পরিজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী।

অভিনেতা আব্দুল কাদের- এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, সাবলীল ও স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তিনি মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।

প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

প্রসঙ্গত, ১৯৫১ সালে মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি থানার সোনারং গ্রামে অভিনেতা আবদুল কাদেরের জন্ম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর শেষ করার পর তিনি সিঙ্গাইর কলেজ ও লৌহজং কলেজে অধ্যাপনায় নিযুক্ত হন। পরে জুতা তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান বাটায় যোগ দেন ১৯৭৯ সালে; সেখানে ছিলেন ৩৫ বছর।

তার অভিনীত মঞ্চনাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে– ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’, ‘এখনও ক্রীতদাস’, ‘তোমরাই, স্পর্ধা’, ‘দুই বোন’, ‘মেরাজ ফকিরের মা’।

টিভিতে তিনি তিন হাজারের মতো নাটকে অভিনয় করেছেন। বিটিভির জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র নিয়মিত শিল্পী তিনি।

প্রয়াত কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের বহু জনপ্রিয় নাটকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নেন কাদের। তিনি হুমায়ূন আহমদের ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকে বদিভাই চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান।

২০০৪ সালে আবদুল কাদের অভিনয় করেন ‘রং নাম্বার’ চলচ্চিত্রে।

দীর্ঘ অভিনয় জীবনের স্বীকৃতি হিসেবে টেনাশিনাস পদক, মহানগরী সাংস্কৃতিক ফোরাম পদক, অগ্রগামী সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী পদক, জাদুকর পিসি সরকার পদক, টেলিভিশন দর্শক ফোরাম অ্যাওয়ার্ড, মহানগরী অ্যাওয়ার্ডসহ বেশ কিছু পদকও পেয়েছেন আবদুল কাদের।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*