প্রাণের ৭১

কোরআন পড়তে গিয়ে শিশুকে ইমামের ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ ও খুনের হুমকি!

সাম্প্রতিক সময়ে মাদ্রাসা, হেফজখানা, এতিমখানা এমনকি মসজিদেও হুজুরদের দ্বারা শিশু ধর্ষণের বিস্তর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। সেই সাথে ধরা পড়ে গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে অনেক হুজুর, এমনটাই উঠে এসেছে গণমাধ্যমগুলোতে। কিন্তু ধর্মীয় লেবাসধারী শিক্ষকদের এসব ধর্ষণ নিয়ে কেউই উচ্চবাচ্য করে না। আবারও এমন একটি ধর্ষণের ঘটনা উঠে এসেছে।

সাভারের আশুলিয়ায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে (৯) ‘ধর্ষণের’ অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। এ অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে।

গতকাল রোববার দুপুরে আশুলিয়ার দোসাইদ এলাকায় এ ঘটনার পরই শিশুটির পরিবার ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। তারপরই পুলিশ শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক আছে ওই ইমাম।

শিশুটির পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, শিশুটির বাবা-মা দোসাইদ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। শিশুটি সেখানেই একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত। পাশাপাশি স্থানীয় বাইতুল মামুন জামে মসজিদের ইমাম আবদুল আল-মামুনের কাছেও কোরআন পড়তে যেত।

‘গতকাল বিকেলে ইমাম আবদুল আল-মামুনের কাছে পড়তে যায় শিশুটি। তখন ইমাম শিশুটিকে নিজের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে তা ভিডিও করে রাখে। বিষয়টি কাউকে জানালে হত্যা করে লাশ গুম করারও হুমকি দেয় ইমাম।’

ওসি আরো বলেন, ‘শিশুটি কৌশলে ওই ঘর থেকে পালিয়ে গিয়ে বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানায়। এ সময় কিছু লোকজনের সহায়তায় ইমাম সটকে পড়ে। পরে শিশুটির বাবা-মা পুলিশকে ঘটনাটি জানায়।’

রাতেই আশুলিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শিশুটিকে উদ্ধার করে বলে জানান ওসি। ইমামকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রসঙ্গত, শিশু যৌন হয়রানি একটি বড় সমস্যা আমাদের দেশের জন্য। পরিবারের বয়স্ক সদস্য, শিক্ষক, হুজুর এমনকি অপরিচিতদের দ্বারাও বহুভাবে শিশুরা শারীরিকভাবে হালকা বা গুরুতরভাবে যৌন হয়রানির শিকার হয়। অনেক সময় শিশুদের যৌনতা সম্বন্ধে ধারণা তৈরীর আগেই বয়স্ক কারো দ্বারা যৌন হয়রানির স্বীকার হলে তাকে বলা হয় পেডোফিলিয়া।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*