প্রাণের ৭১

‘গোল্ডেন বল’ মদ্রিচের, হ্যারি কেনের পায়ে ‘গোল্ডেন বুট’

স্পোর্টস্ আপডেট ডেস্ক ; ‘এত কাছে, তবু কত দূর!’ চার বছর আগে হয়ত এই বাক্যটাই ঘুরে ফিরে আসছিল লিওনেল মেসির মনে! গোল্ডেন বল নিতে যখন পোডিয়ামে উঠছিলেন, তখন বিশ্বসেরার ট্রফিকে হাতছোঁয়া দূরত্বে রেখেই ফিরতে হয়েছিল আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে। চার বছর পর ঠিক একই অভিজ্ঞতা হল আরেক অধিনায়ক লুকা মদ্রিচের।

লুঝনিকিতে রোববার ফাইনাল হারলেও টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের ট্রফি ‘গোল্ডেন বল’ উঠেছে মদ্রিচের হাতে। বুকে ব্যথা চেপে সেই ট্রফি যখন আনতে যান, স্বপ্নের শিরোপা ঠিক পাশেই ছিল ক্রোয়েশিয়া অধিনায়কের। মদ্রিচ চেয়েও দেখলেন না, মন হয়তো ছুঁতে চাইছিল কিন্তু আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে সোজা নিজের কাজ শেষ করে মঞ্চ থেকে নেমে যান। বৃষ্টি থাকায় চোখে জল ছিল কিনা বোঝা গেল না!

কষ্টের হলেও মেসি ও মদ্রিচকে মিলিয়ে দিচ্ছে এই গোল্ডেন বুটই। ব্রাজিল বিশ্বকাপে চার গোল করে আর্জেন্টিনাকে প্রায় একাই ফাইনালে তুলেছিলেন মেসি। দারুণ নৈপুণ্যে ক্রোয়েশিয়াকে প্রায় একইভাবে ফাইনালে তোলেন মদ্রিচ। নামের পাশে ২ গোল থাকলেও মদ্রিচের মাহাত্ম্য ছিল মাঠের খেলা গড়ার কাজে। কিন্তু মেসির মতই শিরোপা এনে দিতে পারলেন না ক্রোয়েট অধিনায়ক।

দেশের ৬২ বছরের হাহাকার মেটাতে পারেননি। কিন্তু ৩২ বছরের একটা অতৃপ্তি পূরণ হল হ্যারি কেনের পা আর মাথা দিয়ে। ১৯৮৬ বিশ্বকাপের পর আবারও গোল্ডেন বুট গেছে কোনো ইংলিশ ফুটবলারের শোকেসে।

শনিবার তৃতীয়স্থান নির্ধারনী ম্যাচেই অনেকখানি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যে, কেনের হাতেই উঠবে গোল্ডেন বুট। কারণ ৬ গোল করা ইংলিশ ফরোয়ার্ডকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারতেন যিনি, সেই রোমেলু লুকাকু প্রথম রাউন্ডের পর গোল খরা ধরে রাখলেন ওই ম্যাচেও। ৪ গোলের পর আর একবারও গোলমুখ খুলতে পারেননি বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড।

চার গোল অবশ্য ছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, ডেনিশ চেরিশেভ, অ্যান্টনিও গ্রিজম্যান ও কাইলিয়ান এমবাপেরও। কিন্তু তাদের কেউ দ্বিতীয় রাউন্ড ও কোয়ার্টার থেকে বিদায় নেয়ায় গোল্ডেন বুটের দৌড় থেকে ছিটকে যান, বাকিরা ফাইনাল খেলেও কেনের সমান গোল করতে পারেননি।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*