প্রাণের ৭১

ঘূর্ণিঝড়ের দিক পরিবর্তন: যে এলাকাগুলোতে আঘাত হানবে ফনি

ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ফনির দিক পরিবর্তন হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। ফলে এটি উপকূলীয় অঞ্চল দিয়ে আঘাত হানবে না। ঘূর্ণিঝড়টি দেশের মধ্যাঞ্চল দিয়ে আঘাত হানার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

শুক্রবার মধ্যরাতে আগারগাঁওয়ে আবহাওয়া অধিদফতর থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ফনি তার দিক পরিবর্তন করেছে। এটি সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, নড়াইল, মেহেরপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী ও রংপুর হয়ে ভারত চলে যেতে পারে।

এর আগে আগারগাঁওয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামছুদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, ঘূর্ণিঝড় ফনি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে নয়, দেশেল মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। এটি সাতক্ষীরার উত্তর দিয়ে যশোর, ঝিনাইদহ, রাজশাহী ও ময়মনসিংহের দক্ষিণ দিয়ে চলে যেতে পারে। এসব এলাকায় প্রবল বাতাস হতে পারে।

পশ্চিমবঙ্গ পেরিয়ে আসার পথে আরও দুর্বল হয়ে এই ঘূর্ণিঝড় শনিবার সকাল ১১-১২ টার মধ্যে বাংলাদেশ পৌঁছাতে পারে বলে আবহাওয়াবিদদের ধারণা।

এর আগে ফনির সম্ভাব্য আঘাতের কথা বলা হয়েছিল সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, চাঁদপুর, ফেনী, লক্ষীপুর, নোয়াখালী চট্টগ্রাম। এসব অঞ্চল অতিক্রমকালে ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৯০-১১০ কি.মি বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানানো হয়েছিল। এসব অঞ্চলের মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ফনির প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

ইতিমধ্যে দেশের দুই সমুদ্রবন্দর মোংলা ও পায়রা বন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ফনির প্রভাবে বজ্রপাতে কিশোরগঞ্জ জেলার তিন উপজেলায় এক শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় ১ জন ও নেত্রকোনায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ভারতের ওড়িশ্যার পর পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ফনি। ওড়িশ্যায় প্রবল বৃষ্টি, ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রপাতে এ পর্যন্ত ৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় দেড় শতাধিক। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় ফনির আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে ওড়িশ্যা।

ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় ফনির কারণে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের ১২ লাখ ৪০ হাজার ৭৯৫ জন মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।



(পরবর্তি সংবাদ) »



মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*