প্রাণের ৭১

নমুনা আনতে পাঠানো চালকবিহীন যানের সফল অবতরণ

চাঁদে চীনের ঐতিহাসিক সাফল্য

চন্দ্র অভিযানে ঐতিহাসিক সাফল্য পেলো চীন। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পর বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে চাঁদের নমুনা সংগ্রহে তাদের পাঠানো মানুষবিহীন মহাকাশযান সফলভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেছে।

চীনা কর্তৃপক্ষের দাবি, ৭ হাজার ৫০০ নিউটনের ইঞ্জিনের চাপ দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১৫ মিনিট উড্ডয়নের পরে ৩টা ১৫ মিনিটে মহাকাশযান চ্যাং’ই-৫ চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করে।

মহাকাশযানটি চাঁদের ঝড়ের সমুদ্র নামের স্থানের নিকতবর্তী একটি উচ্চ আগ্নেয়গিরির লক্ষ্য করে এগিয়ে যাবে। তার আশেপাশে পরীক্ষা করে এবং পৃষ্ঠের উপকরণ সংগ্রহ করার জন্য কয়েকদিন ব্যয় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অভিযানের সুবিধার্থে ক্যামেরা, স্পেকট্রোমিটার, রাডার, একটি স্কুপ এবং একটি ড্রিলসহ বেশ কয়েকটি যন্ত্র রয়েছে যানটিতে।

চ্যাং’ই-৫ মহাকাশযানের নামকরণ করা হয়েছে চীনা প্রাচীন চাঁদের দেবীর নামানুসারে। লং মার্চ ৫ রকেটে করে এই মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হয়। চাঁদের ঝড়ের সমুদ্র নামের অনুন্মোচিত অংশ থেকে ২ কেজি নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে আসতে চেষ্টা করবে সে। চাঁদের উৎস ও গঠন বোঝার কাজে সাহায্য করবে।

এই ধরনের সর্বশেষ অভিযানের নাম ছিলো লুনা ২৪। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৭৬ সালে তা পরিচালনা করে। ১৯৭৬ সালের ওই অভিযানে যেখানে সংগ্রহ করা হয়েছিলো ১৭০ গ্রাম নমুনা। আর অ্যাপোলো অভিযানে মানুষ গিয়ে সংগ্রহ করেছিলো ৩৮২ কেজি মাটি ও পাথর।

১৯৭০ সালের পর প্রথমবারের মতো চাঁদের পাথর পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা শুরু করলো চীন। মানুষবিহীন চ্যাং’ই-৫ প্রব গত ২৪ নভেম্বর ওয়েনচ্যাং স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপন করা হয়। গত প্রায় একসপ্তাহ পর সফলভাবে অবতরণ করলো প্রায় ৮,২ টনের চীনের এ মহাকাশযান।

বিশেষজ্ঞদের আশা, চাঁদ কতদিন আগ্নেয়গিরিরূপে সক্রিয় ছিলো এবং কখন সূর্যের বিকিরণ থেকে চাঁদের জীবন রক্ষাকারী চৌম্বকীয় ক্ষেত্র নষ্ট হয়েছে তা বুঝতে আরো বেশি সহায়তা করবে চ্যাং’ই-৫। ২০১৩ সালে প্রথম চাঁদে যায় চীন। আগামী এক দশকর মধ্যে মঙ্গল থেকেও নমুনা সংগ্রহে আশাবাদী দেশটি






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*