টুকু আউট, সাইয়িদ ইন
            
                     
                        
       		অধ্যাপক আবু সাইয়িদ চৌধুরী ১৯৯৬-২০০১ সালে ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী। সে সময় আওয়ামী লীগের গবেষণা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর গবেষক হিসেবেও তিনি পরিচিত। কিন্তু ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনের সময় আবু সাইয়িদ সংস্কারপন্থী হয়ে যান। এজন্য তাঁর আসনটিরও সংস্কার হয়ে যায়। তাঁর আসন পাবনা -১ থেকে তাকে বাদ দিয়ে সেই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয় শামসুল হক টুকুকে। সে সময় শুধু টুকুকে মনোনয়নই দেওয়া হয় নি। নির্বাচনে জয়লাভের পর তাঁকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও দেওয়া হয়। এতদিন পর অধ্যাপক আবু সাইয়িদ আবার ফিরছেন আওয়ামী লীগে।
অধ্যাপক আবু সাইয়িদের ফেরার পরিপ্রেক্ষিতেই শামসুল হক টুকুকে বাদ দিয়ে পাবনা-১ আসনে তাঁকেই মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। এর পেছনে বড় কারণ হলো ২০১৪’র নির্বাচনে অধ্যাপক আবু সাইদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েও ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আগে, পাবনা-১ আসনে যুদ্ধাপরাধী মামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত মতিউর রহমান নিজামীর সঙ্গে আবু সাইয়িদের ভোটের লড়াই হতো। নিজামী না থাকায় সেখান থেকে নিজামীর ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। কিন্তু সেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না। কাজেই, এই আসনটি এখন আওয়ামী লীগের জন্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আসন নয়।
অধ্যাপক আবু সাইদ বঙ্গবন্ধু বিষয়ে গবেষণা করেন এবং একজন শিক্ষিত ও মার্জিত ব্যক্তি। এলাকায় জনপ্রিয়তার জরিপে তিনিই সবচেয়ে এগিয়ে আছেন। সেজন্য টুকুকে বাদ দিয়ে সাইদকে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো ।
