প্রাণের ৭১

তারেকের ভিডিও কনফারেন্সের ব্যাপারে আইন পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্সের ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করলে বিদ্যমান আইন পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন আদালত কর্তৃক দন্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দলের মনোনয়ন আবেদন যাচাই-বাছাই সম্পর্কিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম একথা বলেন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘যদি কেউ তথ্য প্রমাণসহ আমাদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন তাহলে আইনের মধ্যে থেকে যদি কিছু থাকে, তাহলে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বলব। আর যদি আইনের ভেতর কিছু না থাকে তাহলে আমরা নিজেরা কমিশন বসে কি করতে পারি সেটা পর্যালোচনা করে দেখে তারপরে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’
তারেক রহমান যদি দেশে থাকত তাহলে তিনি ভিডিও কনফারেন্স করতে পারতেন কিনা সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যদি কোনো দন্ডপ্রাপ্ত আসামী হন তাহলে অবশ্যই তা জেলে বা পলাতক থাকার কথা। কেউ জেলে থাকলে এই ধরনের কাজ করার কথা না। জেল থেকে যদি উনি জামিনে আসতেন, তাহলে করলে পরে কোনো অসুবিধা ছিল না। কিন্তু এক্ষেত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আইনের কাভারেজ কতটুকু কি আছে এগুলো দেখে আমরা একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।’
তফসিল ঘোষণার পর ইসিতে দেয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলার তালিকা বিষয়ে তিনি বলেন, তালিকাটি দেখে সত্যিকারের অর্থে যদি কোনো হয়রানিমূলক মামলা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই মামলা না করতে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হবে। কারণ হয়রানিমূলক মামলা করলে নির্বাচনের পরিবেশ কিছুটা হলেও বিনষ্ট হবে।
নির্বাচনী প্রচারণা সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনার বলেন, আজকের মধ্যে আগাম সব ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা সরিয়ে ফেলতে হবে। যদি কেউ সরিয়ে না ফেলেন তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ২ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর এবং ভোটের দিন ৩০ ডিসেম্বর।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*