প্রাণের ৭১

দিনে গ্রেফতার রাতে বন্দুক যুদ্ধে নিহত

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় বিকালে গ্রেফতারের পর রাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মিরাজুল ইসলাম মিরা (৪৩) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।

 

পুলিশের দাবি, নিহত মিরাজুল ইসলাম ডাকাত দলের সর্দার। তিনি জামু আকরাম বাহিনীর সক্রিয় সদস্য ছিল। মিরার বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্রসহ ৭টি মামলা রয়েছে। তিনি দামুড়হুদা উপজেলার হাতিভাঙ্গা গ্রামের মৃত হাফেজ মণ্ডলের ছেলে।

 

বুধবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার গোবিন্দহুদা গ্রামে এই ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।

 

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় শাটারগান, দুই রাউন্ড গুলি, দুটি বোমা, দুটি ককটেল ও দুটি ধারালো রামদা উদ্ধার করেছে।

 

চুয়াডাঙ্গার সহকারী পুলিশ সুপার আহসান হাবীব জানান, বুধবার বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ি পুলিশ দুই রাউন্ড গুলিসহ ডাকাত সর্দার মিরাজুল ইসলাম মিরাকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

 

পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বুধবার রাত ১টার দিকে মিরাজুলকে নিয়ে পুলিশের একটি দল অস্ত্র উদ্ধারে বের হয়। পুলিশের দলটি রাত আড়াইটার দিকে দামুড়হুদা-কার্পাসডাঙ্গা সড়কের গোবিন্দহুদা গ্রামে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা মিরাজুলের সহযোগীরা পুলিশের ওপর অর্তকিত হামলা চালায়।

 

এক পর্যায়ে মিরাজুলকে ছিনিয়ে নিতে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা মারে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। এর এক পর্যায়ে পুলিশের প্রতিরোধের মুখে ডাকাত সদস্যরা পিছু হটে পালিয়ে যায়।

 

পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মিরাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

 

নিহত মিরাজুল ইসলাম মিরা চুয়াডাঙ্গার শীর্ষ সন্ত্রাসী জামু-আকরাম গ্যাং এর সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে দুটি ডাকাতি, তিনটি অস্ত্র, একটি নারীবাজী ও একটি অপহরণ মামলা রয়েছে।

 

মিরার মৃতদেহ চুয়াডাঙ্গা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান পুলিশ সুপার।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*