প্রাণের ৭১

দেশে করোনা পরীক্ষায় মন্থর গতিঃপ্রাণ গেলো আরো ৪২ জনের

মোহাম্মদ হাসানঃ দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থামছেই না।দিনের পর দিন ক্রমশই বেড়ে চলেছে সংক্রমিত রোগী ও মৃতের সংখ্যা।সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সুস্থতার সংখ্যাও। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১১৪ জন।আর সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১ হাজার ৬০৬ জন।

আজ ৩ জুলাই শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর মহাখালিস্থ স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিনের মতো অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ নাসিমা সুলতানা।

ডাঃ নাসিমা সুলতানা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে ৭১ টি পরীক্ষাগারের মধ্যে ৬৩ টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ হাজার ৭৮১ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৪ হাজার ৬৫০ টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৮ লাখ ১৭ হাজার ৩৪৭ টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও ৩ হাজার ১১৪ জনের মধ্যে। ফলে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯১ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৪২ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো এক হাজার ৯৬৮ জনের পাশাপাশি গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ১৬০৬ জন মোট ৬৮ হাজার ৪৮ জন।

বুলেটিনে ডা. নাসিমা আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২১.২৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৩.৫১ শতাংশ, মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ। আজ মৃতদের লিঙ্গ বিভাজনে পুরুষ ৩২ নারী ১০ জন।

এদিকে আজ সকাল পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৯ লাখ ৮৪ হাজার ৭৩৭ জন ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ২৪ হাজার ০৩৬ জনের। যা আক্রান্তের ৪.৭৭%। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬১ লাখ ৪০ হাজার ৬৪৯ জন। যা আক্রান্তের ৫৫.৯০%।

বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে সংক্রমণ ছড়িয়েছে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস। করোনার তথ্য প্রকাশকারী ওয়েবসাইট কভিডভিজ্যুয়ালাইজার থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। নিউমোনিয়ার মতো লক্ষণ নিয়ে নতুন এ রোগ ছড়াতে দেখে চীনা কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এরপর ১১ জানুয়ারি প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।করোনাভাইরাস এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলা ব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মতো। এই রোগ মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*