প্রাণের ৭১

নববর্ষের ফানুস থেকে চিড়িয়াখানায় আগুন, দণ্ডের মুখোমুখি ৩ নারী

জার্মানির একটি চিড়িয়াখানায় আগুন লাগার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে এক নারী (৬০) এবং তার প্রাপ্তবয়স্ক দুই মেয়েকে দায়ী করেছে পুলিশ।

পুলিশের দাবি, পশ্চিম জার্মানির ক্রেফেল্ডের এই তিন নারী আইনি বাধা উপেক্ষা করে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পাঁচটি ফানুস প্রজ্বলন করে। ওই চীনা ফানুসগুলো তারা অনুমতি ছাড়াই অনলাইন থেকে ক্রয় করে।

তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ হলে তাদের পাঁচ বছরের জেলের মুখোমুখি হতে পারেন বলে পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।

নতুন বছর উদযাপন করতে গিয়ে ফানুস থেকে আগুন লেগে চিড়িয়াখানায় থাকা সবগুলো বানর, কয়েকটি সিম্পাঞ্জি ও গোরিলাসহ প্রায় ত্রিশটি পশু পুড়ে মারা যায়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, সেখানে থাকা কোনো প্রাণীই বেঁচে নেই। ওই ঘটনাকে সবচেয়ে খারাপ বাস্তবতা বলে জানিয়েছে ওই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

ক্রিমিনাল পুলিশ প্রধান গার্ড হপম্যান বলেন, এই নারীরা সম্পূর্ণ সাধারণ মানুষ এবং তাদের  খুব বুদ্ধিমান ও দায়িত্বশীল বলে মনে হয়েছে।

হপম্যান আরও বলেন, আগুনের বিষয়টি জানার পরে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে, তবে তাদের মধ্যে ‘সাহসী’ মনোভাব ছিল এবং তদন্তের জন্য তাদেরকে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, সন্দেহভাজনদের হয় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে অথবা জরিমানা করা হতে পারে।

নববর্ষে অনেক জার্মান মধ্যরাতে আতশবাজি দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। তবে ফানুস জার্মানিতে বেশিরভাগ অবৈধ এবং অস্বাভাবিক। কাগজের ওই ফানুসগুলো শতাব্দী ধরে এশিয়াতে ব্যবহৃত হচ্ছে।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*