প্রাণের ৭১

নারীদের অহংকার হয়ে উঠেছেন এসপি শামসুন্নাহার…

হলিউডের মুভি দ্য রান (The Run) কম বেশি আমরা সবাই দেখেছি।পরবর্তীতে বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন দেশের পরিচালক কাহিনীর কিছু সংযোজন, বিয়োজন করেছেন।মুল থিমে দেখা যায়,পৃথিবীতে আমরা আসলেই স্বার্থে দৌড়েই চলেছি।সমাজ,ব্যক্তি, এমন কি আপনজন পর্যন্ত স্বার্থের অন্ধকারে বেহুশ! প্রতি ক্ষেত্রে আমরা বৈষয়িক স্বার্থের নিষ্ঠুরতার প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে নিজ নিজ অবস্হান হতে আর্ত মানবতায় নিজেকে কতটুকু বিলিয়ে দিতে পেরেছি?
নৃ-বিজ্ঞান,অপরাধ বিজ্ঞানে দেখা যায়,মানুষের প্রবৃত্তিতে জিন রহস্যঘেরা! জন্মগতভাবে একেবারে শিশুবেলা হতে আত্নকেন্দ্রিক, স্বার্থের কম বেশির পশরায় জীবনের যাত্রা শুরু হলে ও ব্যাতিক্রমের আলোকবর্তিতায় যুগে যুগে মহামানব,মানবীগন মানবীয়তায়, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতায় জগতজুড়ে অন্যায় অবিচারের ভারসাস্য রক্ষা করে চলেছেন।সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যেখানে অন্যায়ের আধিক্য,আশাহীন ভরসাহীন মানুষের কষ্টগুলো যেখানে পেশীশক্তির হাসির তামাশার খোরাক?বিদ্রুুবের অট্টহাসি? সেখানে আশার ভেলায় ভরসার কান্ডারী হয়ে এগিয়ে এসে চরম ধৈর্য্য,সহিষ্ণুতায় ,ক্লান্তির তোয়াক্কা না করে অবিরত সাম্যের জয়গানে ছুটে চলেছেন পুলিশ সুপার, গাজীপুর,জনাব,শামসুন্নাহার পিপিএম মহোদয়।

সমাজ সংস্কারক কবি কামিনী রায়,নারী জাগরনের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া দের আমরা দেখিনি। তাঁদের সীমাবদ্ধতা লেখায় প্রকাশ পেয়েছে। আজ দেশব্যাপী এ মহীয়সী অসহায়দের ত্রাতারুপে হাজারো সীমাবদ্ধতার পরোয়া না করে মাদক,বাল্যবিবাহ,ইভটিজিং, জংগীবাদের বিরুদ্ধে শতভাগ নির্মুলে রুখে দাঁড়িয়েছেন। সারাদেশের মানুষের মুখে মুখে একটি নাম আজ ধ্বণিত হচ্ছে—-এস,পি শামসুন্নাহার, এস,পি শামসুন্নাহার গাজীপুরবাসীরা এখন,আক্ষেপে বলেন,এস,পি স্যার কেন আরো আগে আসলেন না?

অাজ কালিয়াকৈর বাসীরা স্বত:ফূর্তভাবে তাঁদের আত্মজা সহ ভবিষ্যতের একটি সুশীল স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে মানবীয় আশার ধারনে ও লালনে এ মহীয়সীর মোটিভেশনাল স্পীকে দ্য রানে শামিল হয়েছেন।

চাঁদপুর থাকা কালীন ও তার কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষ বেশ স্বস্তিতে ছিলেন। নারীদের শেষ আশ্রয়স্থল ছিলেন এসপি শামসুন্নাহার।

অনেক ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগিয়েছেন তিনি। প্রশাসনের দক্ষ একজন কর্মকর্তা। সর্বদাই সততাকে বুকে লালন করে এগিয়ে চলেছেন দুর্বার গতিতে।

নারীদের অহংকার হয়ে উঠেছেন তিনি। যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই আলো ছড়াচ্ছেন তিনি। আলোয় আলোকিত হচ্ছে সমাজ।

লিখেছেন: রাজিব দাশ, ইন্সপেক্টর, বাংলাদেশ পুলিশ।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*