প্রাণের ৭১

নির্বাচনী সহিংসতায় ১০ জেলায় প্রাণ গেল ১১ জনের

নির্বাচনে সহিংসতায় নোয়াখালী, রাঙামাটি, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, রাজশাহী, নাটোর, টাঙ্গাইল, নরসিংদী, বগুড়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে।

ইউএনবি জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন অনুযায়ী এসব তথ্য জানা যায়।

রাঙ্গামাটি: কাউখালী উপজেলার কাশখালীতে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বাশির উদ্দিন নিহত হয়েছে।

রবিবার সকালে ভোট কেন্দ্র যাওয়ার সময় বিএনপি কর্মীদের হামলায় দু’জন আহত হয় বলে অভিযোগ উঠে। পরে তাদের দু’জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেয়ার পথে বাশির উদ্দিনের মৃত্যু হয়।

চট্টগ্রাম: বাঁশখালী উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির (জাপা) সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহমদ কবীর (৪৫) নামে জাপার এক কর্মী নিহত হয়েছেন।

রবিবার ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই বাঁশখালী সদর পৌরসভার কাথারিয়া ইউনিয়নের বড়ইতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম-১৬ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী অভিযোগ করেন, শনিবার রাত থেকে আওয়ামী লীগ যুবলীগের সন্ত্রাসীরা কেন্দ্র দখল করে ব্যালটে সীল মারার চেষ্টা করলে তার সমর্থকরা বাধা দেয়। এসময় তারা গুলি চালায়। এতে আহমদ কবীর মারা যায় এবং আহত হয়েছে কয়েকজন।

জাপা প্রার্থী দাবি করেন, তার আসনে ২০ টি ভোট কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করা হয়েছে।

কুমিল্লা: রবিবার সকালে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সমর্থকদের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছে।

জেলার পুলিশের বিশেষ ব্রাঞ্চের উপ-পরিদর্শক মাহমুব মোর্শেদ জানান, নিহতের একজন হলেন- নাঙ্গলকোট উপজেলার সুন্দিয়াল গ্রামের অধিবাসী বাচ্চু মিয়া (৩৫)। অন্যজন হলেন- রিকশা চালক ও চান্দিয়া উপজেলার মুরাদনগর গ্রামের সুজাত আলীর ছেলে মুজিবুর রহমান (৩৫)

রাজশাহী: জেলার পুলিশ সুপারইনটেনডেন্ট শাহীউল্লাহ বলেন, রবিবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী-৩ আসনে মহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নে পাকুরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ-বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে।

নিহত মেরাজুল ইসলাম (৩০) মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে ও আওয়ামী লীগের সমর্থক।

টাঙ্গাইল: গোপালপুর উপজেলার নাগদা শিমলা এলাকা থেকে বিএনপির ওয়ার্ড ইউনিট সভাপতি আব্দুল আজিজের (৬৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন বলে জানা যায়।

নাটোর: ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে নলডাঙ্গা উপজেলায় রবিবার সকালে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা হুসেন আলী নিহত হয়েছে।

নলডাঙ্গা থানার ওসি শফিকুর রহমান জানান, সমসখলসী গ্রামের রতন ফকিরের স্ত্রী ধানের শীষে ভোট প্রদান করা নিয়ে চাচা হুসেন ফকিরের সাথে ভাতিজার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ভাতিজা রতন চাচাকে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় হুসেনকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানায়, চাচা-ভাতিজা উভয়েই আওয়ামী লীগের সমর্থক।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*