প্রাণের ৭১

পাঁচ হেভিওয়েট তোফায়েল- আমু-মতিয়া -নাসিম-মোশাররফ মন্ত্রী সভায় ফিরছেন

পাঁচ হেভিওয়েট তোফায়েল- আমু-মতিয়া -নাসিম-মোশাররফ মন্ত্রী সভায় ফিরছেন

 

মোহাম্মদ হাসানঃ টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের এক বছর পূর্ণ হওয়ার পরপরই মন্ত্রিসভায় রদবদলের গুঞ্জন ছিল কিন্তু সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের কারণে মন্ত্রিসভার রদবদল পিছিয়ে গেছে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, প্রধানমন্ত্রী ইতালি সফর থেকে দেশে ফেরার পরপরই যেকোন সময় মন্ত্রিসভার রদবদল হতে পারে। এই মন্ত্রিসভার রদবদলের জন্য যে সমস্ত প্রস্তুতি এবং পর্যালোচনা দরকার সেটাও  প্রধানমন্ত্রী সম্পন্ন  করেছেন বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র সংবাদ মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।

 

তবেএবার মন্ত্রিসভার আকার বাড়বে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে যারা মন্ত্রিসভার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন তাদের কয়েকজনকে সরিয়ে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলেও ধারনা করা হচ্ছে।

 

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল বিজয়ী হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসছে। সেই সময়  মন্ত্রিসভায় শুধুমাত্র বেগম মতিয়া চৌধুরী ছাড়া সিনিয়র কোন নেতৃবৃন্দ ছিলো না। কিন্তু সেই মন্ত্রিসভা দিয়েই ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার পরিচালনা করেন।

 

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে অবশ্য হেভিওয়েটদেরকে স্থান দেয়া হলেও তৃতীয় মেয়াদে আবার দলের হেভিওয়েটদেরকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়া হয়েছিলো।

 

তৃতীয় মেয়াদে এসে প্রধানমন্ত্রী যে গতি সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে অধিকতর তরুনদের দিয়ে মন্তসভা গঠন করেন বর্তমানে তরুণ মন্ত্রীরা সেই গতির সাথে তাল মেলাতে পারছেন না। একারণেই মন্ত্রিসভায় রদবদলের কথা আলোচনায় এসেছে এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন ঘরোয়া আলোচনায় মন্ত্রিসভায় রদবদলের ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন। গত ১ বছরে মন্ত্রীদের কাজের যে পারফরমেন্স, সেই পারফরমেন্স রিপোর্ট এখন প্রধানমন্ত্রীর হাতে প্রধানমন্ত্রী সবই জানেন। কোন মন্ত্রী কতটুকু দায়িত্ব পালন করতে পেরেছেন এবং কে কতটুকু দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। আর এই বিবেচনা থেকেই রদবদল হবে।

 

যেহেতু আগামী ১৭ মার্চ থেকে মুজিববর্ষ শুরু হচ্ছে, সেইজন্য এই মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে দলের সিনিয়র নেতাদের আবারও মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে আনা হতে পারে। বিশেষ করে আমির হোসেন আমু এবং তোফায়েল আহমেদ মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন এরকম একটি গুঞ্জন রয়েছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এই দুজনের পারফরমেন্স দলের হাইকমান্ডকে সন্তুষ্ট করেছে। আবার সাম্প্রতিক সময়ে বেগম মতিয়া চৌধুরীকেও অত্যন্ত সরব দেখা গেছে। মোহাম্মদ নাসিম ১৪ দলের সমন্বয়ক হিসেবে খুব ভালো পারফর্ম করছেন। অপরদিকে চট্টগ্রামের প্রবীণ নেতা, স্বাধীনতা পুরুস্কার প্রাপ্ত, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এর দক্ষ সাংগঠনিক তৎপরতা লক্ষনীয় বলেও আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা মনে করেন। এই বিবেচনায় এই পাঁচ জন মন্ত্রিসভায় আসবেন কিনা তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

 

এক্ষেত্রে দলের প্রবীন নেতারা আশা পোশন করছেন তাঁরা হয়তো শেষ পর্যন্ত রদবদলে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। কারণ তাঁরা ইতিমধ্যে  সেরকম কিছুই ইঙ্গিত পেয়েছেন। আর তাঁদেরকে দলের কার্যক্রমে নতুন করে গুরুত্বও দেওয়া হচ্ছে।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*