প্রাণের ৭১

পোলিওর পরে এবার বাংলাদেশের ধনুষ্টঙ্কারমুক্তের স্বীকৃতি

পোলিও’র পর এবার ধনুষ্টঙ্কারমুক্ত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ধনুষ্টঙ্কারমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।
পরিবার পরিকল্পনার বিশেষ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে এ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রীলংকার কলম্বোয় অনুষ্ঠিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক সম্মেলনে বাংলাদেশকে ধনুষ্টঙ্কারমুক্ত দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সাফল্য অর্জনের জন্য ওই সম্মেলনে বাংলাদেশকে একটি সনদ দেওয়া হয়। এক বছর পর্যবেক্ষণে রাখার পর সনদ দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রজনন স্বাস্থ্য ও কিশোর-কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া পরিবার পরিকল্পনা সেবা কেন্দ্রগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ‘সেবার মান বৃদ্ধি করি, সবার প্রত্যাশা পূরণ করি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আগামী ১২ থেকে ১৭ নভেম্বর দেশব্যাপী পালিত হবে পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ।  বিশেষ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে প্রায় দুই হাজার ২০০ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে প্রতিদিন স্বাভাবিক সেবা প্রদান করা হবে। পর্যায়ক্রমে সেবাকেন্দ্রের সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, কিশোর-কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য, প্রজনন স্বাস্থ্য, নিরাপদ মাতৃত্ব- এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে বিগত ছয় দশক ধরে কাজ করে যাচ্ছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের সব সক্ষম দম্পতিদের যদি পরিবার পরিকল্পনা, মা-শিশু-কৈশোরকালীন স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য ও সেবাপ্রাপ্তির সহজ-সুযোগ সৃষ্টি করা যায় তবে কর্মসূচিতে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো অনেকাংশ উত্তরণ সম্ভব।
এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং ইউএনএফপিএ’র আর্থিক সহায়তায় প্রতিবছর দু’বার দেশব্যাপী সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উদযাপন করে। সেবা ও প্রচার সপ্তাহে পরিবার পরিকল্পনা, মা-শিশুস্বাস্থ্য, বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য সেবাকে আরও জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য তরে তোলা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ সিরাজুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


« (পূর্বের সংবাদ)



মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*