প্রাণের ৭১

প্রথমবারের মত এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলার মেয়েরা। প্রতিপক্ষ ভারত।

এমন একটি মুহূর্তের অপেক্ষায় ছিল সবাই। আজকের দিনটিতেই যে সেটা হতে যাচ্ছে, সেটাও অনেকটা জানা ছিল। দীর্ঘ অপেক্ষার পর হতাশ করেননি রুমানা-সালমারা। প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে মালয়েশিয়াকে ৭০ রানে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। এ জয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠলেন বাংলাদেশের মেয়েরা।
আগের চার ম্যাচেই হেরেছে মালয়েশিয়া। স্বাগতিকদের বিপক্ষে জিতলেই ফাইনাল। বাংলাদেশ পরিষ্কার ফেবারিট হিসেবেই মাঠে নেমেছিল। কিন্তু ম্যাচ শুরুর আগে একটা শঙ্কা জেগেছিল ঠিকই। এবারের এশিয়া কাপটা বাংলাদেশের শুরুটা বেশ বাজে হয়েছিল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬৩ রানে অলআউট হয়ে টুর্নামেন্ট শুরু বাংলাদেশের। সে শ্রীলঙ্কাকে আজ হারিয়ে দিয়েছে থাইল্যান্ডের মেয়েরা। যে দল আবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬০ রানের বেশি করতে পারেনি! টি-টোয়েন্টিতে যেকোনো দল যে নিজেদের দিনে সবাইকে হারাতে পারে, এর সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন।
বাংলাদেশ তাই শুরুটা করেছে সাবধানী। প্রথম ১০ ওভার প্রায় বিনা ঝুঁকিতে কাটিয়ে দিয়েছেন শামিমা সুলতানা ও আয়েশা রহমান। দশম ওভারের পঞ্চম বলে ভাঙে ৫৯ রানের উদ্বোধনী জুটি। ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৭ বলে ৩১ রান করে ফিরেছেন আয়েশা। এক রানের মধ্যে ফারজানা (৭) ও শামিমা (৫৪ বলে ৪৩ রান) ফিরে গেলে হঠাৎ বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ৩ উইকেটে ৮৭ রান নিয়ে ১৬তম ওভার শেষ হয় বাংলাদেশের। দলের স্কোরটা (১৩০) সমীহ জাগানো হয়েছে ফাহিমা খাতুনের সুবাদে। পাঁচে নামা ফাহিমার ১২ বলে ২৬ রানেই শেষ ৪ ওভারে ৪৩ রান তুলেছে বাংলাদেশ। তাঁর ইনিংসে ছিল ৩টি চার।
তাড়া করতে নেমে ম্যাচের ফল নিয়ে কখনোই অনিশ্চয়তা জাগাতে পারেনি মালয়েশিয়া। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে তারা। রান তোলার গতিটাও ছিল শ্লথ। বাংলাদেশের বোলারদের কিপটে বোলিংয়ের সামনে স্ট্রাইক রোটেট করতে পারছিল না দলটি। সে সঙ্গে দুটি রানআউট মিলে একদম লেজেগোবরে অবস্থা দাঁড়ায় দলটির। এতেই নিশ্চিত হয়, কোনো ম্যাচ না জিতেই টুর্নামেন্ট শেষ হচ্ছে মালয়েশিয়ার। আর এশিয়া কাপের ফাইনালটাও নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
৪ ওভারে ৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট পেয়েছেন রুমানা আহমেদ। ৮ রান দিয়ে ১ উইকেট পেয়েছেন খাদিজা-তুল-কুবরা। ৯ রান দিয়ে ১ উইকেট পেয়েছেন সালমা খাতুন ও জাহানারা। ১৩ রানে ১ উইকেট নাহিদার।
আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে শিরোপা লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*