প্রাণের ৭১

ফ্রান্সে উচ্চ আদালত জুলকিপলাকে প্রথম বাংলাদেশি অনুবাদকের স্বীকৃতি প্রদান করে

ফ্রান্সে প্রশাসনিক ও অফিসিয়াল সকল কাজে স্থানীয় ভাষা ফঁসে ব্যবহার হওয়ার কারণে অফিস আদালতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় বাংলাদেশিদের, সে কারণে ফ্রান্সে অভিবাসনে, রাজনৈতিক আশ্রয়ে, ব্যবসা-বাণিজ্যে, সরকারি-বেসরকারি কাজে, আদালতে, কূটনৈতিক পরিধীতে ও নানাবিধ বিষয়ে প্রত্যায়িত অনুবাদ এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। যে কারণে দোভাষী ও অনুবাদকদের এক বিশেষ যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়, আর সে যোগ্যতার স্বীকৃতি যখন দেশের উচ্চ আদালত প্রদান করে, তা গ্রহণ করা নিশ্চিতই এক বিশেষ দায়িত্ব।

কেননা সমস্ত প্রসাশনিক কাজে একমাত্র তাদের অনুবাদই গ্রহণযোগ্য। সম্প্রতি প্যারিসের হাইকোর্ট এই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অনুবাদক তুহিন জুলকিপলাকে এই গুরুদায়িত্ব দিল। যদিও ভারতের কয়েকজন বাঙালিকে এই `সন্মান` প্রদান করা হয়েছিল প্যারিস হাইকোর্ট থেকে, কিন্তু এই প্রথম রাজধানী প্যারিসে তুহিন জুলকিপলা এই পদবী ও সন্মানের অধীকারী হলেন। এর কয়েক বছর আগে একই কোর্ট তাকে দোভাষী হিসেবে ও মনোনীত করেছিল।

এর আগে প্যারিসের বাইরে অন্য নগরী ভার্সাই হাইকোর্ট থেকে বাংলাদেশি মোহাম্মদ শফিকুর রহমান এবং ফ্রান্সের দক্ষিণ প্রান্তের অপর নগরী তুলুজ হাইকোর্ট থেকে আরও দুজন এই পদবী পেয়েছেন।

শফিকুর রহমান (পারভেজ) এবং তুহিন জুলকিপলা প্যারিসের গার দ্যু নর্দ` এ (10, Rue Demarquay,75015 Paris) অবস্থিত `হিমালয় অনুবাদ কেন্দ্র` S.T.I.P (পেশাদার অনুবাদক ও দোভাষী সংগঠন) অফিসে দীর্ঘ এক যুগ অনুবাদের কাজ করে যাচ্ছেন।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*