প্রাণের ৭১

বাংলাদেশের শিক্ষকদের শেখা দরকার কীভাবে পড়াতে হয় : তসলিমা

দেশের খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপালের অপমানজনক কথাবার্তায় আত্মহত্যা করেছে অরিত্রী অধিকারী নামের এক শিক্ষার্থী। গত কয়েকদিন ধরে এই ইস্যুতে উত্তাল হয়ে আছে দেশের শিক্ষাঙ্গণ।

বাণিজ্যিক শিক্ষাব্যবস্থার এই দেশে কীভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতে হয় তা বেশিরভাগ শিক্ষকরা জানেন কিনা- তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ব্যাপকহারে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক এবং শারিরীক নির্যাতন বন্ধের দাবি প্রবল হচ্ছে।
বলিউডের নামী পরিচালক রাজকুমার হিরানি তার বিখ্যাত মুভি ‘থ্রি ইডিয়টস’ এ দেখাতে চেয়েছিলেন, ডিগ্রির পেছনে না দৌঁড়ে শিক্ষার্থীদের কীভাবে পড়ানো উচিত। এবার বিখ্যাত নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিন বললেন, উন্নত বিশ্বের শিক্ষকদের কাছ থেকে বাংলাদেশের শিক্ষকদের শেখা উচিত, কীভাবে ছাত্র পড়তে হয়।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তসলিমা লিখেছেন, ‘অরিত্রি অধিকারী নামে একটি ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে কারণ পরীক্ষা দিতে গিয়ে নিজের মোবাইল ফোন থেকে কিছু টুকেছিল বলে স্কুলের প্রিন্সিপাল তাকে পরীক্ষা দিতে দেননি, স্কুল থেকেও তাড়িয়ে দেবেন বলে দিয়েছিলেন। অরিত্রির বাবা-মা স্কুলের প্রিন্সিপালকে অনেক অনুরোধ করেও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করাতে পারেননি। ক্ষমা চেয়েও ক্ষমা পাননি। অরিত্রি ক্ষোভে যন্ত্রণায় লজ্জায় অপমানে আত্মহত্যা করেছে। এ কোনো নতুন ঘটনা নয়।

টিচারদের কারণে স্কুল থেকে ফিরে অনেক ছাত্র ছাত্রীই আত্মহত্যা করে। ‘
‘আমাদের সময় টিচাররা শরীরে মারতেন। আজকাল টিচাররা মারেন মনে। দুটোই কিন্তু মার। কোনোটির যন্ত্রণা কিন্তু কোনোটি থেকে কম নয়। তারা আসলে পড়াতে জানেন না বলেই মারেন। সভ্য পৃথিবীর কাছ থেকে আমরা কত কিছুই শিখছি। কী করে পড়াতে হয় এটা শিখছি না কেন? সভ্য দেশগুলোয় বিশেষ করে উত্তর ইউরোপ বা উত্তর আমেরিকায় গিয়ে তো বাংলাদেশের টিচাররা শিখে আসতে পারেন কী করে পড়াতে হয়। অথবা ওখান থেকে টিচার হায়ার করে আনতে পারেন শেখানোর জন্য। ‘

‘স্কুল কলেজে টিচারের চাকরি করা, আর ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষিত করা দুটো আলাদা জিনিস। কাউকে শিক্ষিত করতে হলে নিজে শিক্ষিত হতে হয়। যেটি আমাদের স্কুল কলেজের অধিকাংশ টিচারই নন। ‘

অরিত্রি অধিকারী নামে একটি ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে কারণ পরীক্ষা দিতে গিয়ে নিজের মোবাইল ফোন থেকে কিছু টুকেছিল বলে স্কুলের…

Posted by Taslima Nasreen on Friday, December 7, 2018






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*