প্রাণের ৭১

বিদেশীরা শেখ হাসিনার জয় দেখছে

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাত্র বাকি কয়েক ঘণ্টা। নির্বাচনের আগে ঢাকাস্থ বিদেশী কূটনীতিকরা আওয়ামী লীগেরই বিজয়ের পুর্বাভাস করছে। যদিও মার্কিন দূতাবাস আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা করেছে, কিন্তু ওয়াশিংটনে পাঠানো বার্তায় মার্কিন দূতাবাস ‘ক্ষমতার পালা বদলের কোন সম্ভাবনা দেখছে না।’ মার্কিন দূতাবাস অবশ্য তার প্রতিবেদনে এটাকে ‘নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন’ হিসেবে দেখছে। মার্কিন দূতাবাস মনে করছে, বিরোধী দলের বক্তব্য ঠিকমতো জনগণের কাছে পৌঁছতে দেওয়া হয়নি। মার্কিন দূতাবাস তার প্রতিবেদনে বলেছে, ‘জনগণ আওয়ামী লীগকে আরেকবার রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে।’

মার্কিন দূতাবাসের মত ভারতও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগেরই বিজয় দেখছে। তবে তাঁরা এই নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন বলতে রাজী নয়। ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে তৈরি করা বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘শেখ হাসিনার ব্যক্তিত্ব, নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কারণেই আওয়ামী লীগের বিজয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।’ ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আওয়ামী লীগের ব্যাপারে নেতিবাচক কিছু বিষয় তুলে ধরা ছাড়া বিরোধী পক্ষ নির্বাচনে জনগনকে নতুন কিছুই শোনাতে পারেনি।’ বিরোধী দলের পক্ষ থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হয়েছে, যেগুলো জনগনের কাছে নতুন নয় বলেও ভারতের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকে তারা এ সব করে বলেই জনগন মনে করে।’ ভারতীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘শেখ হাসিনার বিকল্প কে?’ এই প্রশ্নের উত্তর বিরোধীপক্ষ দিতে পারেনি। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা শেখ হাসিনা। মূলত তার কারণেই জনগন আবার আওয়ামী লীগকেই চাইছে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নও বাংলাদেশের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ের পূর্বাভাস করেছে। নির্বাচন সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এই নির্বাচনের কেবল একটি ফলাফল হতে পারে তা হলো আওয়ামী লীগের বিজয়। এই নির্বাচনে অন্যকোন ফলাফলের অবকাশ নেই বলেও মন্তব্য করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইইউ মনে করে বাংলাদেশের জনগনের জীবন মানের উন্নয়ন, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বিভিন্ন কারণে এই ধারাবাহিকতা ‘মন্দের ভালো’। জনগনও তাদের এগিয়ে যাওয়া জীবন থেকে অনিশ্চয়তায় ঝাপ দিতে চায়নি। ইইউ মনে করে, নতুন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে যেন মানবাধিকার, ভিন্নমত লালনসহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উন্নতি করে তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংলাপ প্রয়োজন
bangla insider






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*