বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়।
![](https://www.praner71news.com/wp-content/uploads/2019/03/logo-71.png)
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, বর্তমানে গড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ হচ্ছে ৬ টাকা ২০ পয়সা, যা বিক্রি হচ্ছে গড়ে ৪ টাকা ৮২ পয়সা করে।
কিন্তু গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের এই দামের কোম্পানি ভেদে পার্থক্য রয়েছে। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্যে গ্রাহককে দিতে হয় ৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকা ৭০ পয়সা পর্যন্ত।
সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ সেবার তিন কোটি তিন লক্ষ গ্রাহক রয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটেই বাংলাদেশে শুরু হয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮। বর্তমানে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে বলে সরকার দাবি করছে।
কিন্তু কিভাবে দরকারি বিদ্যুৎ ব্যবহার করেও বিল কমানো সম্ভব?
তার কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রকৌশলীরা।
বিদ্যুৎ বিল কমানোর সাতটি উপায়
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসির) নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মহসিন আবদুল্লাহ বলেন, কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে আবাসিক বিদ্যুৎ বিল কমিয়ে আনা সম্ভব।
১. সুইচ বন্ধ রাখা
ফ্যান, বাতি, টিভি, কম্পিউটার ব্যবহার না করলে সব সময় এগুলোর সুইচ বন্ধ করে রাখা।
অনেক সময় বাথরুম বা বারান্দার লাইট জ্বলে থাকে। সেটি যাতে না হয়, তা খেয়াল রাখা হলে বিদ্যুৎ বিল বেশ খানিকটা কমে আসে।
মেশিন বা ইস্ত্রি ব্যবহার না করলে প্লাগ খুলে রাখা উচিত। কম্পিউটার বা টিভি ব্যবহার না করলে স্লিপ মুডে বা বন্ধ করে রাখুন।
২. বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার
প্রচলিত বাতির তুলনায় এনার্জি বাল্ব বা এলইডি বাতি ব্যবহার করা হলে বিদ্যুতের ব্যবহার অনেক কমে আসে। যেখানে প্রচলিত একটি বাতি একশো ওয়াট ব্যবহার করে, সেখানে একটি এনার্জি বাতি ব্যবহার করে মাত্র ২৫ ওয়াট।
প্রথমদিকে বাতির ক্রয় মূল্য বেশি হলেও এগুলো দীর্ঘদিন সেবা দেয় এবং বিলের হিসাবে অনেক বেশি সাশ্রয়ী হয়।
এছাড়াও এখন ইনভার্টারযুক্ত ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিন পাওয়া যায়। এসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ বিল দুই তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা সম্ভব।