প্রাণের ৭১

ভারত থেকে পাঠানো সাত রোহিঙ্গাকে মেরে ফেলা হতে পারে!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক- সম্প্রতি সাত রোহিঙ্গাকে মায়ানমারে পাঠানোর রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আর তাতেই আতঙ্কিত আশ্রিত রোহিঙ্গারা। ওই সাত রোহিঙ্গাকে দেশে ফেরত্‍ পাঠালেই খুন করে ফেলা হবে। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তাঁরা।

দিল্লির কালিন্দি কুঞ্জে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা বলছেন, ‘ভারত সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, যাতে মায়নমারের অবস্থা শান্তিপূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আমাদের থাকতে দেয়। যে সাত রোহিঙ্গাকে দেশে ফেরানো হচ্ছে, তাদের খুব তাড়াতাড়ি মেরে ফেলা হবে।

২০১২ থেকে অসমের শিলচরে কাচার সেন্ট্রাল জেলে ছিল ওই সাত রোহিঙ্গা। অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের জন্য তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। এনএনআই-কে এক রোহিঙ্গা শরণার্থী মহম্মদ ফারুক বলেন, “২০১২ থেকে ভারতে আছি। সরকারের কাছে অনুরোধ আমাদের যেন থাকতে দেওয়া হয়। মায়ানমারে আমরা অনেক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। আমরা কোনও লোভের জন্য দেশ ছাড়িনি। সমস্যায় না পড়লে কে চায় নিজের দেশ ছাড়তে!”

সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ভারতে বসবাস করে ৪০,০০০ রোহিঙ্গা। আর ২০১৭-র অগস্ট থেকে মায়ানমার ছেড়েছে অন্তত দাড়ে ৬ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিম।

অসমের এক গোয়েন্দা অফিসারের কথায়, অনুপ্রবেশকারী ৩২ জন রোহিঙ্গাকে আটক শিবিরে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাতজন নাবালক যারা রয়েছে তেজপুর শিবির। ২০১৪ সালে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে রেলপুলিশের হাতে তারা ধরা পড়া। রোহিঙ্গাদের জেরার পর জানা যায়, তারা মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের বাসিন্দা।

অন্যদিকে, সম্প্রতি, কেন্দ্র সব রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে রোহিঙ্গা সহ অন্যান্য অনুপ্রবেশকারীদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করার। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, রোহিঙ্গাদের অস্তিত্ব কেবল উত্তর-পূর্ব ভারতেই নয় গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। কেরলেও তাদের ঘাঁটি গড়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংও রোহিঙ্গাদের অবৈধ অভিবাসী বলে অভিহিত করেছেন। কলকাতা টুয়েন্টিফোর






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*