প্রাণের ৭১

মানববন্ধন শেষে বিএনপির শতাধিক নেতা কর্মী আটক।

কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানা গেছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টার পর রাজধানীর হাইকোর্ট এলাকা, কদম ফোয়ারা, শিল্পকলা মোড় ও বিজয়নগর এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।

এ ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (ডিসি, মিডিয়া) মাসুদুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেছেন, ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে শাহবাগ, রমনা ও পল্টন থানায় কিছু নেতাকর্মী আটকের কথা শুনেছি। যাচাই-বাছাই শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে।’

এদিকে ডিএমপির রমনা বিভাগের ডিসি মারুফ হাসান সরদার বলেন, ‘বিএনপির মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে আটক করা হয়নি। কিছুসংখ্যক লোককে আটক করা হয়েছে। আমাদের কাছে মামলার তালিকা আছে। যাদের নামে মামলা আছে, তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। আর যাদের নামে মামলা নেই, তাদের যাচাই করে ছেড়ে দেওয়া হবে।’

ডিএমপির রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) এহসান ফেরদৌস এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মূলত আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় তাদের আটক করা হয়েছে। আর আমরা তো একটি পয়েন্টে থাকি, তাই পুরো বিষয়টা ডিএমপির মিডিয়া উইং ভালো বলতে পারবে। সেখানে যোগাযোগ করলে সব তথ্য জানতে পারবেন। আমি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার জন্য বলছি না।’

 

মানববন্ধন থেকে ফেরার পথে বিএনপির নেতাকর্মীদের ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ছবি : সংগৃহীত

 

বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমাদের শতাধিক নেতাকর্মীকে বিনা কারণে পুলিশ আটক করেছে। তারা মানববন্ধন শেষে ফেরার পথে বিভিন্ন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থেকে পুলিশ তাদের আটক করে নিয়ে যায়।’

আবদুস সালাম আজাদ বলেন, ‘আমি শেষ যেটুকু খবর পেয়েছি, তাতে এখন পর্যন্ত রমনা থানায় আটক আছেন ৬০ জনের অধিক নেতাকর্মী। এ ছাড়া শাহবাগ থানায় আটক আছেন যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র সহসভাপতি শরিফ হোসেনসহ ৫০ জনের বেশি নেতাকর্মী।’

সরেজমিনে শাহবাগ ও রমনা থানা এলাকায় দেখা যায়, বিএনপির নেতাকর্মীদের আত্মীয়স্বজন থানার সামনে স্বজনের জন্য অপেক্ষা করছেন।

শাহবাগ থানার সামনে কথা হয় যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র সহসভাপতি শরিফ হোসেনের মেয়ে শর্মী কেয়ার সঙ্গে। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজ আমার বাবার হাইকোর্টে হাজিরা ছিল। তিনি আদালতে হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার পর পুলিশ তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আমার বাবা সব মামলায় জামিনে আছেন।’

এর আগে আজ বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু হয়। এর আগেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে যান হাজার হাজার নেতাকর্মী। তিন দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী বুধবার একই দাবিতে দুই ঘণ্টার প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। ঢাকার রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ অথবা গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ প্রতীকী অনশনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে দলটি।

ntv






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*