প্রাণের ৭১

‘মার্শাল ল’ রক্তপাত ছাড়া কোন কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না -শেখ হাসিনা

মোহাম্মদ হাসানঃ ‘মার্শাল ল’ রক্তপাত ছাড়া দেশ ও সশস্ত্র বাহিনীর কোন কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। তাই, সামরিক অভিধান থেকে শব্দটি বাদ দিন। মার্শাল ল এর বলী হতে হয়েছে বহু সামরিক কর্মকর্তা ও সৈনিককে। এমন মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

তিনি আজ ৭ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে আর্মড ফোর্সেস সিলেকশন বোর্ড মিটিং ২০২০-এ তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগদিয়ে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী ‘সামরিক অভিধান’ থেকে ‘মার্শাল ল’ শব্দটি বাদ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটা দেশ ও সশস্ত্র বাহিনীর কোন কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। ‘মার্শাল ল’ রক্তপাত ছাড়া দেশ ও সশস্ত্র বাহিনীর কোন কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। তাই, ‘সামরিক অভিধান’ থেকে আমাদের ‘মার্শাল ল’ শব্দটি বাদ দেয়া উচিৎ।’জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসন আমলের ১৯টি ক্যু-ঘটিয়ে বহু সামরিক কর্মকর্তা ও সৈনিককে হত্যা করেছেন।

তিনি আরো বলেন, ‘সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের আমলে সশস্ত্র বাহিনীর এতো বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা ও সৈন্যকে হত্যা করা হয়েছে যে যুদ্ধেও এতো বিপুল সংখ্যক সৈন্য নিহত হয়নি। আমরা (সশস্ত্র বাহিনীতে) আর কোন ছেলে হারা পিতা বা পিতা হারা ছেলের কান্না শুনতে চাই না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের পর বারংবার ক্যুয়ের ফলে সশস্ত্র বাহিনী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সব ক্যু-এর নামে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী সশস্ত্র বাহিনীর অনেক সদস্যকে বর্বরোচিতভাবে হত্যা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘সেনা ও বিমান বাহিনীতে সবচেয়ে বেশি রক্তপাত হয় এবং আমাদেরকে বহু স্বামী হারা বিধবা ও পুত্র হারা বাবা-মায়ের কান্না শুনতে হয়েছে।’
সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন ও একে সময়োপযোগী করে গড়ে তোলা তাঁর সরকারের লক্ষ্য। আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আমাদের পরিবারের সম্মানিত সদস্য। তারা আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। এই বাহিনীকে আরো আধুনিক ও সময়োপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সরকার দেশের সুরক্ষা ও কষ্টার্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বহিনীকে আরো সুসজ্জিত করে গড়ে তোলার কাজ করে যাচ্ছে।’

এ সময় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জে. মাহফুজুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন।

বিমান বাহিনীর সদরদপ্তর থেকে অনুষ্ঠানে অংশ নেন চিফ অব নেভাল স্টাফ অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল নৌবাহিনীর সদরদপ্তর থেকে এবং চিফ অব এয়ার স্টাফ এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*