প্রাণের ৭১

মাশরাফির বিপক্ষে কষ্টের জয় মুশফিকের

চার-ছক্কায় ধুন্ধুমার উদ্বোধনী ম্যাচ দেখার স্বাদ মিটলো না দর্শকদের। তবে রংপুর রাইডার্স এবং চিটাগং ভাইকিংসের মধ্যে উইকেট তুলে নেওয়ার লড়াই হলো বটে। একশ’ রানের নিচে অলআউট হয়ে যাওয়া গেলবারের চ্যাম্পিয়ন রংপুর ঘাম ঝরিয়ে ছেড়েছে চিটাগংয়ের। ম্যাড়মেড়ে ম্যাচেও দেখা গেছে দারুণ জমজমাটও লড়াই। তবে শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটের জয় দিয়ে শুরু করেছে মুশফিকের ভাইকিংস।

প্রথমে ব্যাটে নেমে রংপুর রাইডার্স করতে পারে মাত্র ৯৮ রান। মিঠুন-রাইলি রুশো, হেলসরা ক্রিজে এসেছেন এবং ফিরে গেছেন। মাশরাফিদের করা ওই রান পানির মতো চিটাগং তুলে ফেলবে এমনটাই ভাবা হয়েছিল। কিন্তু মাশরাফিরা নিয়মিত উইকেট তুলে নেয় চিটাগংয়েরও।

শুরুতে ১৫ এবং ১৯ রানের মাথায় দেলপোর্ট এবং আশরাফুলকে ফেরায় রংপুর। এরপর শাহজাদ-মুশফিকে কিছুটা মুক্তি মেলে। দলের ৫১ রানের মাথায় ২৭ রান করে ফিরে যান শাহজাদ। এরপর বড় চাপে পড়ে চিটাগং। দলের ৬২ রানে ৫ উইকেট হারায় তারা। তবে দলকে ভরসা দিতে ক্রিজে ছিলেন মুশফিক।

তিনি নিজের ২৫ রানে এবং দলের ৮৭ রানে আউট হয়ে ফেরেন। দলের তখনও দরকার ১২ রান। কিন্তু ওই রান চিটাগং তুলতে পারবে কিনা তৈরি হয় সেই শঙ্কা। শেষ দুই ওভারে চিটাগংয়ের দরকার ছিল ১০ রান। হাতে ৩ উইকেট। ক্রিজে ছিলেন রবি ফ্রাইলিঙ্ক এবং সানজামুল ইসলাম। শেষ পাঁচ বল হাতে রেখে কষ্টে শিষ্ঠে ৩ উইকেটের জয় পেয়েছে চিটাগং ভাইকিংস।

এর আগে রংপুরের হয়ে ৪৪ রান করেন রবি বোপারা। সোহাগ গাজী করেন ২১ রান। এরপর দলের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান করেন রাইলি রুশো ৭ রান। চিটাগংয়ের হয়ে ফাইলিঙ্ক ১৪ রানে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া নাঈম হাসান এবং আবু জায়েদ পান দুটি করে উইকেট। রংপুরের হয়ে অধিনায়ক মাশরাফি নেন দুই উইকেট।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*