প্রাণের ৭১

মির্জার জ্যোতিষ গণনা এবং ড. কামালে’র ইতিহাস রচনা।আবদুল গাফফা্র চৌধুরী।।

গত শতকের প্রথমার্ধের ইউরোপের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী গ্রেটা গার্বো একবার ব্রিটিশ (আইরিশ) নাট্যকার বার্নার্ড শর কাছে এক চিঠিতে একটা প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘আসুন, আমরা বিয়ে করি। তাহলে আপনার প্রতিভা এবং আমার রূপ মিলে যে সন্তান জন্ম নেবে, সে রূপে-গুণে হবে বিশ্বে অতুলনীয়।’ বার্নার্ড শ চটপট তার একটা জবাব দিলেন। লিখলেন, ‘বিয়েতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু সন্তানটি যদি আমার রূপ এবং তোমার প্রতিভা নিয়ে জন্ম নেয়, তাহলে কেমন হবে?’

গল্পটি মনে পড়ল ঢাকার কাগজে দুটি খবর দেখে। গত ৩০ নভেম্বর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না।’ অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত জোট তথা ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন ঢাকার পুরানা পল্টনে তাদের জোটের নতুন অফিসের উদ্বোধনের সময় বলেছেন, ‘এবারের নির্বাচনে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটবে।’ তার আশা, নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার জন্য জনগণ ভোট পাহারা দিলে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে এবং এই ঐতিহাসিক ঘটনাটি ঘটবে।

বাংলাদেশে পাহারা ছাড়াই একাধিকবার নির্বাচনে ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে। একবার ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে; আরেকবার ২০০৮ সালের নির্বাচনে। দুটি নির্বাচনেই জনগণকে ড. কামালের বর্ণিত ‘পাহারা’ দিতে হয়নি। দেশি-বিদেশি চক্রান্তের মুখেও আওয়ামী লীগ বিশাল নির্বাচনী জয় অর্জন করে ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটিয়েছিল। তার আগে পাকিস্তান আমলের শেষ নির্বাচন সামরিক জান্তার এলএফওর শিকলে বাঁধা থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয়ের অধিকারী হয়েছিল।

এবার আসা যাক বার্নার্ড শ এবং গ্রেটা গার্বোর গল্পে। মির্জা ফখরুল বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না আর ড. কামাল বলেছেন, তার জোট নির্বাচন জেতার ক্ষেত্রে এক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটাবে। গ্রেটা গার্বোর আশাবাদের জবাবে বার্নার্ড শ যা বলেছিলেন, তা যদি একইভাবে মির্জা ফখরুলের এবং ড. কামালের আশাবাদের ক্ষেত্রে অর্থাৎ বিপরীতভাবে ঘটে? আওয়ামী লীগের বদলে বিএনপি ৩০টি আসন পায় এবং ড. কামালের ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন জয়ের ইতিহাস সৃষ্টি করার বদলে আওয়ামী লীগ এবারের নির্বাচনেও এই ইতিহাস সৃষ্টি করে? তাহলে তখন গুরু-শিষ্য কী বলবেন?

নির্বাচনে পরাজয়ের ব্যাপারে ড. কামাল তো ইতিমধ্যেই ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। রাষ্ট্রপতি পদ থেকে সংসদ সদস্য পদ, যে পদেই তিনি নির্বাচন করেছেন, হেরেছেন। তার দল গোহারা হেরেছে। অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে তিনি এখন মুখ্য সরকারবিরোধী জোটের শীর্ষ নেতা হয়েও নির্বাচনে ব্যক্তিগতভাবে অংশ নিচ্ছেন না। এ রকম দৃষ্টান্ত সাম্প্রতিককালে বিরল। আমি তাকে অনুরোধ জানাই, তিনি আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিন। যদি এবারেও হারেন, তাহলে সত্যই ইতিহাস সৃষ্টি করবেন। নির্বাচনে হারার ব্যাপারে বিশ্বরেকর্ড ভঙ্গ করে গিনেস ওয়ার্ল্ড অব রেকর্ডসে স্থান পাবেন।

নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজয় এড়ানোর জন্য ড. কামালের সামনে আরও একটি পথ খোলা ছিল। খালেদা জিয়ার যে তিনটি আসন বিএনপির জন্য সেইফসিট বা নিরাপদ আসন (বগুড়া-৬, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১) তার যে কোনো একটিতে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়ে যেতে পারতেন এবং অতীতের ‘হারুয়া প্রার্থী’ এই দুর্নামটা ঘোচাতে পারতেন। মির্জা ফখরুল বিএনপির এত বড় নেতা, তিনি নিজেও সম্ভাব্য পরাজয় এড়ানোর জন্য খালেদা জিয়ার বগুড়া-৬-এর নিরাপদ আসনে মনোনয়ন নিয়েছেন। ড. কামাল আর দুটি আসনের একটি থেকে নির্বাচনে লড়তে পারতেন। যদিও আসন দুটি বরাদ্দ হয়ে গেছে; তথাপি এখনও প্রার্থী বদলানো হয়তো সম্ভব। ড. কামাল এবারের নির্বাচনে যাতে সত্য সত্যই একটা ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটাতে পারেন, সেই আশা থেকেই তাকে এই পরামর্শটি দেওয়া।

মির্জা ফখরুলের গণনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ যদি আসন্ন নির্বাচনে মাত্র ৩০টি আসন পায়, তাহলে ভোটদাতাদের কাছে উন্নত কর্মসূচি নিয়ে জোরেশোরে নির্বাচনী প্রচারে নামার বদলে কেন সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে টার্গেট করে কেবল তাদের ত্রুটি আবিস্কারে বিএনপি-জামায়াত জোট তথা ঐক্যফ্রন্ট তাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে? সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে প্রচারে দল, সমর্থক মিডিয়া, আইনজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের সবাইকে আটকে রেখেছে?

এবারের নির্বাচনে ভোটযুদ্ধ যে শান্তিপূর্ণ হবে, তার আভাস পাওয়া যায় দুই পক্ষের প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়ন পাওয়ার পর পরস্পরের কোলাকুলির ছবিতে। এই অবস্থায় ঐক্যফ্রন্টের অঘোষিত মুখপত্র ‘নিরপেক্ষ দৈনিকটি’ আর কী করে? উপসম্পাদকীয়তে এই কোলাকুলির কথা স্বীকার করে অপ্রাসঙ্গিকভাবে প্রশ্ন তুলেছে ‘জনগণ ভোট দিতে পারবে তো?’ এটা অনেকটা প্রজার পুত্র এমএ পাস করেছে- খবর শুনে ঈর্ষান্বিত জমিদারের প্রশ্ন তোলার মতো- ব্যাটা এমএ পাস করেছে বটে, চাকরি পাবে তো? আর চাকরি পেলেও বেতন পাবে তো?

বিএনপি-জামায়াতের কট্টর সমর্থক এক আঁতেল আইনজীবী তো নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গের (ইঙ্গিত সরকারি দলের প্রার্থীদের দিকে) ব্যাপারে চোখ-কান বন্ধ করে রেখেছে, তা প্রমাণ করার জন্য গাঁটের টাকা খরচ করে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ছাপানো ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েলের’ দুই কপি কিনে ফেলেছেন। এমন সমঝদার সমর্থক থাকাতেই সম্ভবত মির্জা ফখরুল গলা ফুলিয়ে বলতে পারছেন, আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না।

একদিকে এক নেতা বলছেন, নির্বাচন জয়ে ঐক্যফ্রন্ট এবার ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটাবে; অন্যদিকে অনুগত মিডিয়া দিয়ে প্রশ্ন তোলানো হচ্ছে, ‘জনগণ ভোট দিতে পারব তো’? অর্থাৎ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বদলে যদি বিএনপি ৩০টি আসন পায়, তাহলে যেন বলা যায়- আওয়ামী লীগই বিএনপির জয়লাভ আটকে রেখেছে। ভোটদাতাদের ভোটদান করতে দেয়নি। ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে বিএনপি নির্বাচনে বিরাট পরাজয়ের সম্মুখীন হলে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমাদের বিজয় ছিনতাই করেছে।’

এখন পর্যন্ত দেশের যে পরিস্থিতি তার বাস্তবতা হচ্ছে, লন্ডনের বাসিন্দা তারেক রহমানের বড় কোনো চক্রান্ত সফল না হলে আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশে নির্ধারিত সাধারণ নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হবে। ড. কামাল হোসেন ও মির্জা ফখরুলের বক্তব্য শুনেও বোঝা যায়, তারা কোনো কারণেই নির্বাচন বর্জন করবেন না। অবশ্য নির্বাচনে হেরে গেলে তা সহজে তারা মানবেন কিনা, তা বলা মুশকিল। তবে তাদের মানতে হবে। নির্বাচনের দিন পর্যন্ত ঐক্যফ্রন্টের ঐক্য পুরোপুরি টিকে থাকবে কিনা, সে বিষয়ে আমার সন্দেহ আছে। ততদিনে ঐক্যফ্রন্টে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বও ‘ঠুঁটো জগন্নাথ’ হয়ে যেতে পারে।

আওয়ামী লীগ জোট অবশ্যই সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। তার মূল কারণ হবে কয়েকটি- ক. সিভিল ও মিলিটারি কমপ্লেক্সে এখন আর বিএনপির আগের একচেটিয়া কর্তৃত্ব নেই। একটি আওয়ামী-বলয় তাতে গড়ে উঠেছে; খ. জিয়াউর রহমানের সৃষ্ট নব্য ধনীরাও এখন একচেটিয়াভাবে বিএনপি শিবিরে নেই। তাদের বৃহৎ অংশটিই এখন আওয়ামী শিবিরের সমর্থক; গ. বিএনপির ভারত-বিরোধিতার রাজনীতি এখন জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত ও ব্যর্থ। আমেরিকার অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে এখনও আওয়ামী লীগ-বিরোধিতা আছে। কিন্তু তা আগের মতো শক্তিশালী নয়। পশ্চিমা দেশগুলোতে বিএনপি ইউনূস ও কামাল গ্রুপের আওয়ামী লীগ-বিরোধী প্রপাগান্ডা সফল হয়নি। তারেক রহমানের ষড়যন্ত্রও আপাতদৃষ্টিতে ব্যর্থ।

দেশের অভ্যন্তরীণ অবস্থার দিকে আরও বেশি করে তাকালে দেখা যাবে-ঘ. যে সুশীল সমাজটি প্রকাশ্যে এবং গোপনে আওয়ামী জোটবিরোধী ভূমিকা গ্রহণ করেছিল, তাদের চেহারা জনগণের কাছে খুবই উন্মোচিত। তাদের অনুগত মিডিয়া গ্রুপের একই অবস্থা। প্রচার আছে, প্রভাব নেই; ঙ. দেশের রাজনীতিকে সম্পূর্ণ ধর্মীয়করণ দ্বারা বিএনপি এতদিন একাই যে সাফল্য লুটছিল, সেই সাফল্য এখন নেই। ধর্মীয় রাজনীতিতে এখন আগের ঐক্য ও উগ্রতা নেই। এই রাজনীতির একটা উল্লেখযোগ্য অংশ বলতে গেলে মিড সেন্টার আওয়ামী লীগের পাশে চলে এসেছে; চ. একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড হওয়ার পর সবচেয়ে প্রভাবশালী ধর্মীয় রাজনীতির দল জামায়াত এখন দুর্বল এবং বিএনপির আশ্রিত। মসজিদ-মাদ্রাসায় তাদের আগের কর্তৃত্ব নেই। বর্তমান নির্বাচনেও আসন বণ্টন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে তাদের গোপন বিরোধ এখনও আছে; ছ. ছাত্র রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য দলের চেয়ে ছাত্রলীগ এখন অনেক বিরাট ও শক্তিশালী; জ. দেশের মানুষও বহুদিনের বিভ্রম কাটিয়ে উঠে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি কারা এবং কারা স্বাধীনতার শত্রুশিবির, তা বুঝতে পারছে; ঝ. দেশের রাজনীতি, বিশেষ করে যুব সমাজের মধ্যে কেবল আওয়ামী-বিদ্বেষ প্রচার ছাড়া তাদের সামনে ভবিষ্যতের কোনো স্বপ্ন সৃষ্টি করতে পারেনি বিএনপি। বরং তার ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রদায়িকতার খোলসটি এখন আরও উন্মোচিত; ঞ. আওয়ামী লীগের বহু এমপি ও মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারে সাধারণ মানুষের অনেকে ক্ষুব্ধ ও রুষ্ট। কিন্তু তারা নিকট অতীতে বিএনপি-জামায়াত শাসনে হত্যা, সন্ত্রাস, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের যে রাজত্ব দেখেছে, তাতে বিএনপিকে তারা আওয়ামী লীগের বিকল্প মনে করে না।

আওয়ামী লীগ কেন আসন্ন নির্বাচনে জয়ী হবে, তার আরও কয়েকটি কারণ এবং বিএনপি কেন এবারও ক্ষমতায় আসতে পারবে না, তার অন্তত দশটি কারণ এখানে দেখাতে পারি। কিন্তু স্থানাভাব ও সময়ের অভাবে লেখাটির পরিসর বাড়ালাম না। সবচেয়ে বড় কথা, এবারের নির্বাচনে আওয়ামী জোটের শক্তিশালী নেতৃত্ব আছে। দলটিও বিএনপির চেয়ে সংগঠিত। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে বিএনপি জোট নেতৃত্বহীন ও জোটের বর্তমান নেতাও একজন বহিরাগত এবং বৃদ্ধ ও প্রভাবহীন। তার অবস্থা হিন্দু পুরাণের ভীষ্ফ্মের মতো। মনে হয়, এই বয়সে একটা জগাখিচুড়ির মতো রাজনৈতিক ফ্রন্টে নেতৃত্ব দিতে এসে ভীষ্ফ্মের মতোই শরশয্যা গ্রহণ করতে চলেছেন।

আওয়ামী জোটের সবচেয়ে বড় মূলধন শেখ হাসিনার নেতৃত্ব। এই নেতৃত্ব এখন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত। দেশ ও দেশবাসীর বৃহত্তর স্বার্থে মালয়েশিয়ার মাহাথিরকে যেমন ক্ষমতায় ফিরে আসতে হয়েছে, বাংলাদেশেও তেমনি দেশটির স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের বৃহত্তর স্বার্থে শেখ হাসিনার আরেক দফা ক্ষমতায় থাকা প্রয়োজন। এ জন্যই আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী জোটের জয় কামনা করি।

লেখাটি শেষ করার আগে অপ্রাসঙ্গিক হলেও নির্বাচন প্রসঙ্গে একটি ব্যক্তিগত কথা বলছি। প্রিয় পাঠকরা ক্ষমা করবেন, আওয়ামী জোটের প্রার্থী মনোনয়নে আমার বন্ধু অর্থনীতিবিদ ড. ফরাসউদ্দিন, জননন্দিত অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী, সিলেটের নিবেদিতপ্রাণ আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান চৌধুরী, সোনারগাঁয়ের (নারায়ণগঞ্জ) ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলামের মতো বঙ্গবন্ধুর ভক্ত এক তরুণ শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পাননি দেখে আশাভঙ্গের বেদনায় ভুগছি। আমার আরও আশা ছিল, তরুণ অর্থনীতিবিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানকেও আওয়ামী জোটের মনোনয়নপ্রাপ্তদের মধ্যে দেখব। দেশের গণমুখী অর্থনীতির বিস্ময়কর উন্নয়নে এবং দরিদ্র কৃষক-মজুরের দুয়ারে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে তার অবদানও অতুলনীয়। তাছাড়া বয়সে তিনি তরুণ ও কর্মঠ। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার প্রতি তার আনুগত্য প্রশ্নাতীত। আশাভঙ্গের এই বেদনা মনে থাকা সত্ত্বেও প্রার্থনা করছি, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জোটের জয় হোক।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*