প্রাণের ৭১

যুগেযুগে দেশবিরোধীরা শাস্তি পেয়েছে,অভিশপ্ত হচ্ছে,বাংলাদেশ বিরোধীরাও শাস্তি পাচ্ছে,অভিশপ্ত হবে।।

মানবকূল সৃষ্টি করে সৃষ্টি কর্তা চোখ বুঝে ঘুমাননি বা সৃষ্টির কর্মকান্ড দেখার জন্য অপেক্ষা করেননি। যুগেযুগে তাঁর সৃষ্টির দুনিয়ায় সু-শৃংখল জীবন যাপন,সৃষ্টির সামাজিক শৃংখলা, নিয়মানূবর্তিতা, রীতিনীতি, আইনকানুন প্রশিক্ষন,প্রচলন, পালন, অনুসরন অনুকরণের জন্যে শিক্ষকও প্রেরণ করেছেন। প্রশিক্ষকগন সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় সৃষ্টিকূলের সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা, কারন,উপকারীতা–প্রচার, প্রসার ঘটানোর লক্ষে প্রতিনিয়তঃ সচেষ্ঠ থেকেছেন।
মহান আল্লাহ তাঁর সৃষ্ট দুনিয়ায় যুগেযুগে, কালেকালে বিভিন্ন সম্প্রদায়ে, বিভিন্ন গোষ্টি, বিভিন্ন জাতির নিকট বিভিন্ন ধর্মে–বিভিন্ন নামের আসমানী কিতাব দিয়ে বা নাদিয়ে নবী ও রাসুলদের প্রেরণ করেছিলেন। শ্রষ্টা প্রেরিত ঐসমস্ত বিশেষ মানবের জিবনী পয্যালোচনা করে দেখা যায়–তখনকার যুগের সামাজিক, প্রাকৃতিক পরিবেশে বসবাসরতঃ মানব’কুলের তুলনায় তাঁরা প্রত্যেকে’ই অধিকতর জ্ঞানের অধিকারী এবং ভিন্নতর আচার, আচরন, জীবনযাপনের অধিকারী ছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের জীবনাচার অনুসরণ, অনুকরণ করার জন্যে তাঁর নিজের জম্ম নেয়া সমাজে, সম্প্রদায়ে বা কওমে প্রেরিত শ্রষ্ঠার ইচ্ছার দোহাই দিয়ে তাঁদেরকে অনুসরণ, অনুকরণ করার আহব্বান জানিয়েছেন। এইরুপ বিশেষ মানবগন (নবী বা রাসুল) কেউ কখনই বলেননি-তাঁর প্রচারিত মত ও পথ তাঁর ব্যাক্তিগত ইচ্ছায় রচিত।
হযরত আদম (আঃ) হতে আরাম্ভ করে সর্বশেষ নবী হযরত মহাম্মদ (সঃ) এবং তৎপরবর্তি চারখলিফা শাসনকাল খোলাফায়ে রাশেদীনসহ ‘সাহাবা’য়ে কেরামগনের শাসনামল পয্যন্ত সকলের শত্রুদের দুনিয়াবী এবং আল্লাহ প্রদত্ত শাস্তি নিশ্চিত হয়েছে। আল্লাহর প্রেরিত নবীগনের বিরুধীতাকারীগন অথবা সমমায্যদা দাবীকারীগনকে মহান আল্লাহ মানবজাতীর দেখা,অদেখা, দৃশ্যমান, অদৃশ্যমান, জানা, অজানা বহুভাবে নির্মম, নিষ্ঠুর এবং কঠোর শাস্তি প্রদান করেছেন। ইসলাম ধর্মের অনুসারীগন যুগেযুগে আল্লাহ প্রদত্ত ঐসমস্ত শাস্তি বা দন্ডকে গজব হিসেবেই চিহ্নিত করে থাকেন।
ইসলাম ধর্ম আগমনের পুর্বে দুনিয়াতে প্রথম মানব হযরত আদম (অঃ) থেকে শুরু করে শেষ নবী হযরত মহাম্মদ (সঃ) পয্যন্ত প্রেরিত সকল নবী ও রাসুলের শত্রুদের আল্লাহ কঠিনতম শাস্তি প্রদান করার কথা তাঁর কোরানে বর্ণনা করেছেন। আমরা প্রত্যেক মসুলমান কোরানের প্রতিটি শব্দ, আয়াত, সুরার উপর দৃড় বিশ্বাস এবং আস্থা পোষন করি। শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য বাদশাহ সাদ্দাৎ যিনি নিজেকে খোদা দাবী করেছিলেন। ফেরাউন যিনি নিজেকে সর্বশক্তিমান নবী দাবী করেছিলেন।আরো বহু উদাহরণ দেয়া যেতে পারে।
আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ কিতাব আল কোরানে তাঁর প্রেরিত নবীগনকে তিনি সমগ্র মানবজাতীর নিকট মহিমাম্বিত চারিত্রিক বৈশিষ্ট তুলে ধরে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে তাঁর প্রেরিত নবীদের ধর্মপ্রচারে বাঁধাদানকারী, অত্যাচারী ব্যাক্তিদের তাঁর শত্রু গন্য করে তাঁদের কুখ্যাত চারিত্রিক বৈশিষ্ট সমূহ বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ তাঁর প্রেরিত সর্বশেষ এবং সর্শ্রেষ্ঠ কিতাব আল কোরানে শত্রুদের বর্ণনা দিয়ে ক্ষান্ত থাকেননি।,তাঁদের করূন পরিণতির কথাও তুলে ধরেছেন বিভিন্ন ভাবে, বিভিন্ন প্রসঙ্গে। ইসলাম ধর্মের অনুসারী সহ আরো কতিপয় ধর্মালম্বি প্রতিনিয়ত নবীদের বরাবর যেমন আল্লাহর নিকট দোয়া কামনা করে।তেমনি তাঁদের শত্রুদের প্রতি ধিক্কার, ঘৃনাও প্রকাশ করে থাকে।
সর্বশেষ আমাদের প্রিয় নবীজির দৌহিত্রদ্বয়কে হত্যাকারী সাহাবা মুয়াবিয়া পুত্র ইয়াজিদ, তিনি যদিও ইসলাম ধর্মের অনুসারী ছিলেন। তৎসত্বেও তাঁর কৃতকর্মের কারনে আবহমানকালের ইতিহাসে মসুলমান সম্প্রদায়ের নিকট তিনি ধিকৃত, কুখ্যাত হয়ে আছেন এবং থাকবেন। মহান আল্লাহ সৃষ্ট পৃথিবীর চন্দ্র সুয্য যতদিন থাকবে, ততদিন একই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলবে সমগ্র মানবজাতি।
তেমনিভাবে আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশ ইংরেজদের শাসনশোষন করার সুযোগ যারা করে দিয়েছি।,তাঁদের প্রতিও ভারতবাসি ধিক্কার, ঘৃনা প্রকাশ করার রীতি ধারাবাহিকভাবেই চলছে, চলবে। বাংলা, বিহার উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদৌলার পূর্বপুরুষগন যেমন ভারতীয় উপমহাদেশের অধিবাসী ছিলেননা, তেমনি ইংরেজ শাসকগোষ্টিও ভারতীয় উপমহামহাদেশের অধিবাসী ছিলেননা। নবাবের পুর্ব পুরুষগন যেমন ভারতীয় উপমহাদেশে ভাগ্যান্বষনে এসে শাসনভার গ্রহন করেছিলেন। ইংরেজগনও ব্যাবসাবানিজ্য করার উদ্দেশ্যে ভারতে এসে শাসনভার গ্রহন করেছিলেন।
ইংরেজ বেনিয়াচক্র নবাব বংশের সহযোগীতায় নবাবী শাসনের পতন ঘটিয়ে নিজেরা শাসনভার তুলে নিয়েছিল। অথছ তারও পুর্বে আরব, ফরাসী, আফগানী সহ বহু শাসক, শোষক, লুটেরা ভারতীয় উপমহাদেশ শাসন, শোষন, লুটপাট করার ইতিহাস আছে।তাঁদের মধ্যে কোন একটি জাতি গোষ্টি, শাসক, শোষকদের প্রতি ভারতবাসী ঘৃনা প্রকাশ করার সংস্কৃতি গড়ে উঠেনি। (বিঃ দ্রঃ ভারতীয় উপমহাদেশের তিনহাজার বছরের ইতিহাসে ভারতীয়গন কখনও নিজেদের শাসন, নিজেরা করার ইতিহাস পাওয়া যায়না।)
লক্ষনীয় বিষয়টি হচ্ছে–অত্রাঞ্চলের অধিবাসীগন ইংরেজদের যতনা ঘৃনা করে,তারও অধিক–ঘৃনা, ক্ষোভ প্রকাশ করে ইংরেজদের দালাল নবাব বংশীয় “মীর জাফর আলী খাঁ” সহ তাঁর অনুসারীদের। ঘৃনার মাত্রা এত বেশী যে, প্রায় তিনশত বছর অতিক্রান্ত হয়েছে, তথাপিও ভারতবর্ষে কোন পরিবারের নবজাতক শিশুর নাম “মীর জাফর আলী খাঁ” রাখার কথা জানা যায়না।
মজার ব্যাপারটি হচ্ছে–ভারতীয় উপমহাদেশবাসীদের অন্তরে ইংরেজদের প্রতি প্রায় শতবছরের বেশী ঘৃনার প্রবনতা লক্ষ করা যায়নি। শতবছরের অধিক সময় পর, ঐতিহাসিকগনের ইতিহাস রচনায় ইংরেজ সহযোগীদের শাসনকাল, রাষ্ট্র ক্ষমতা হারানো, ইংরেজ সরকার প্রদত্ত প্রায় প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে বিচার ও দন্ড প্রাপ্তির কথা জানা যায়। ইংরেজ সরকার কতৃক শাস্তি কায্যকরের পরও জড়িত প্রায় প্রত্যেকের করুন মৃত্যুর কাহিনী ইতিহাসে উঠে আসে। ক্ষমতার রদবদল সহ প্রাসঙ্গিক ঘটনাবলীর সত্যিকারের ইতিহাস উঠে আসার পরই কেবল–ভারতীয় উপমহাদেশব্যাপী তাঁদের প্রতি ঘৃনার বহ্নিশিখা জ্বলে উঠে। সেই আগুনের লেলিহান শীখা অর্ধশতকের মধ্যে ইংরেজ শাসনের পতন ঘটিয়ে দু’টি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়েছে।
ইংরেজগন যাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল তাঁদের মধ্যে নবাব সিরাদ্দৌলা সহ মুষ্টিমেয় সংখ্যক প্রথমাবস্থায় মৃত্যুমূখে পতিত হয়েছিল। তাও ইংরেজ বেনিয়া শাসক গুষ্টির সহযোগীদের স্বেছাচারিতায় মৃত্যু হয়েছিল,ইংরেজদের হাতে নয়। ‘নবাব সিরাজের বংশ’ এবং তাঁদের নিকটতম অনুসারীদের মধ্যে বেশীরভাগ ইংরেজদের সম্পূর্ণ শাসনামলে বংশ পরম্পরায় “বার্ষিক রাষ্ট্রীয় মাসোয়ারায়” জীবনযাপন করার সুযোগ পেয়েছিলেন।অপরদিকে বেঈমানগন পথে ঘাটে ধুঁকেধুঁকে মৃত্যু হয়েছে, ইংরেজ শাসকবর্গ তাঁদের কারো প্রতি সামান্য সহানুভূতি দেখানোর প্রয়োজন অনুভব করেনি–ইতিহাস তাই সাক্ষি দেয়।
ভারতীয় উপমহাদেশ দখলকারীদের যেমন মহান আল্লাহ ভারতীয়দের জানতে-অ-জানতে কঠিন শাস্তি দুনিয়াতে দিয়েছে।তেমনি দখলকারীর সাহায্যকারী নবাব বংশীয় এবং তাঁর অনুসারী বেইমানদেরও ভারতীয়দের দৃশ্যমান-অদৃশ্যমান কঠিন শাস্তি প্রদান করেছেন। ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসের প্রতিটি পরতে পরতে ‘মীর জাফর এবং তাঁর সহযোগীদের করুন পরিণতির বিবরণ চোখে পড়ে। সম্পূর্ণ বিষয়টি যখন প্রকাশ পেয়েছে তখন ইংরেজদের শাসনকালের শতবর্ষ পূর্তি উৎসব পালিত হয়ে গেছে।
ভারতীয় উপমহাদেশ নামটি যতদিন বেঁচে থাকবে, ততদিন ইংরেজদের প্রতি যদি কখনও ঘৃনা উবে যায়–“মীর জাফর আলীর খাঁর” বংশ এবং তাঁদের সহযোগীদের প্রতি ঘৃনার মাত্রা সামান্যতম কমার সম্ভাবনা নেই।
ইংরেজগন আলোচনার টেবিলে১৯৪৭সালে ভারতবাসীর ইচ্ছানুযায়ী ভারতীয় উপমহাদেশকে দুইভাগে ভাগ করে ভারত এবং পাকিস্তান নামে দুইটি রাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিয়ে যায়।সঙ্গত কারনে–পাকিস্তান সৃষ্টি বা ভারত সৃষ্টির বিরুধীতাকারীগনের চেহারা উম্মোচিত হয়নি।তাছাড়া ভারতীয় ভূখন্ডের স্বাধীনতা আন্দোলনে সমগ্র ভারতবাসী একজোটে ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে শতবছর আন্দোলনে সম্পৃত্ত ছিল। স্বাধীনতার মাত্র অল্প কয়েক বছর আগে পাকিস্তান নামে আলাদা রাষ্ট্রের দাবীটি সামনে আসে। আলোচনার টেবিলে বসে সিদ্ধান্ত গ্রহন এবং অহিংস আন্দোলনে স্বাধীনতা প্রাপ্তি’র ফলে, ইংরেজ শাসকগুষ্টির দালালগন চিহ্নিত থাকা সত্বেও উভয়দেশের স্বাধীনতার পর, ঐসমস্ত দালালদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করার প্রয়োজন হয়নি।
তবে উভয় অঞ্চলের স্বাধীনতাকামী নেতাদের অঙ্গিকার অনুযায়ী উভয় স্বাধীন সার্বভৌম দেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তির অল্পকিছুদিনের মধ্যে-“সামন্তবাদী প্রথা” উচ্ছেদ করার ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়। সামন্তবাদী প্রথা বাতিলের লক্ষে জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত, প্রজাস্বত্ব আইন কায়েমের মাধ্যমে ইংরেজদের দালাল জমিদারদের জমিদারী বিলুপ্ত করা হয়েছিল। উক্ত আইনের ফলে সাধারন মানুষদের নিপীড়ন, শোষন, নিয্যাতনকারী ভারতবর্ষব্যাপী লক্ষ লক্ষ জমিদার জমিদারী হারিয়ে মহুর্তে সাধারন মানুষের কাতারে নেমে আসতে বাধ্য হয়েছিল।
উল্লেখিত সময়ে মাওলানা মওদূদী’র গঠিত জামায়াতে ইসলামী প্রথমবস্থায় ইংরেজদের শাসনব্যাবস্থা বহাল থাকার পক্ষে অবস্থান করেছিলেন। পরবর্তিতে স্বাধীনতা অবশ্যম্ভাবি হয়ে উঠলে অখন্ড ভারতের পক্ষে অবস্থান করেন। ইংরেজদের পক্ষে উলঙ্গ দালালী এবং পাকিস্থান রাষ্ট্র সৃষ্টির বিরুদ্ধে অখন্ড ভারতের পক্ষে দালালী’র কথা স্বাধীন পাকিস্তানের নতুন সরকার প্রধান ‘কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ’ ভুলে যাননি।
পশ্চিম পাকিস্তানে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষনার দাবীর একপয্যায় দাঙ্গায় উস্কানী দেয়ার অজুহাতে জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা আমী’র মাওলানা মওদূদীকে তাঁর সরকার আইনের আওতায় নিয়ে আসে। আদালতের বিচারে দুষি প্রমানিত হলে আদালত মাওলানা মওদুদীর মৃত্যুদন্ড প্রদান করে রায় দেয়। পরবর্তিতে নতুন দেশের নতুন সরকার মাওলানা মওদুদীর রায় কায্যকরের প্রাক্কালে মুসলিম দেশের প্রধান রাষ্ট্র, ‘সৌদীআরব এবং তাঁর সরকার’ প্রধানের ব্যাক্তিগত সুপারিশ অবজ্ঞা করার সাহষ দেখাতে পারেননি।ফলে মওদুদীর মৃত্যুদন্ড কায্যকর না করেই তাঁকে জেলমুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের উভয় অংশে মওদুদীপন্থি জামায়াতের রাজনীতি অকেকটা কোনঠাসা এবং হেয় প্রতিপন্ন হয়।ফলে বিচক্ষন নেতৃত্ব ও ধর্মের বেড়াজাল জড়িয়ে রাজনীতি চালিয়ে গেলেও তাঁর কোন প্রভাব পাকিস্তানের রাজনীতিতে বিস্তার ঘটাতে পারেনি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন দাঁনাবেঁধে উঠার প্রাথমিক পয্যায় হতে আওয়ামীলীগের সঙ্গে জামায়াতের রাজনৈতিক ভাবাদর্শের অমিল ছিল। সঙ্গতকারনে জামায়াতে ইসলামীসহ কতিপয় রাজনৈতিক দল পশ্চিম পাকিস্তানী নেতাদের প্রভাবিত ক্ষমতাসীন মুসলিমলীগের পক্ষে অবস্থান গ্রহন করেছিল। সঙ্গত কারনে তাঁদের সমূদয় রাজনৈতিক ক্রিয়াকর্ম একক পাকিস্তান রাষ্ট্রের পক্ষে সংঘঠিত হতে থাকে। ‘৭১ বাঙ্গালী জাতির স্বাধীনতার লক্ষে অনিবায্য মুক্তিযুদ্ধেও তাঁদের পুর্বের রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন করতে পারেনি। পাকিস্তানী দখলদার সেনাবাহিনীর বাঙ্গালী নিধনে ঝাঁপিয়ে পড়লে এদেশীয় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও তাঁদের সহযোগী হয়ে উঠে। পরবর্তিতে অনুসারী রাজনৈতিক দলের অবস্থান পাকিস্তানের পক্ষে নিশ্চিত পরিলক্ষিত হলে,তাঁদের নেতাকর্মীগন মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রহাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষে যুদ্ধে লিপ্ত হয়।
সঙ্গত কারনে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়ের পর জামায়াতে ইসলামীসহ জড়িত অন্যান্ন রাজনৈতিক দল স্বাধীন দেশের সরকার নিষিদ্ধ করে এবং গঠিত রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর বিভিন্ন অপরাধে অপরাধী সদস্যদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসে। সাধারন রাজাকার যারা কোনপ্রকার অপরাধে জড়িত ছিলনা, বঙ্গবন্ধু সরকার তাঁদের জন্যে সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করেন।যে সমস্ত শীর্ষ রাজাকার যুদ্ধ চলাকালে অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে গিয়েছিল, তাঁদের নাগরিকত্ব সরকার বাতিল করেন এবং তাঁদের অনুপস্থিতিতে বিচারকায্য শুরু করেছিলেন।
‘৭৫এর ১৫ই আগষ্ট একদল বিপদগামী সেনাসদস্যের হাতে বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হন। তৎপরবর্তিতে বাংলাদেশের দ্রুত রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হতে থাকে। একপয্যায় মেজর জিয়াউর রহমান সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বঙ্গবন্ধু সরকারের গঠিত ‘আন্তজাতিক বিশেষ ট্রাইব্যুনাল’ বাতিল করেন এবং সাজাপ্রাপ্ত, বিচারাধীন, আটক যুদ্ধাপরাধীদের মামলা বাতিল ও জেলমুক্ত করে দেন। মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েকজন দেশ বিরুধী শীর্ষ রাজকার নেতাকে তাঁর মন্ত্রীসভায় ঠাঁই দেন। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ দ্রুতই চলে যেতে থাকে পরাজিত শত্রু দেশ পাকিস্তানের ভাবধারায়।
১৯৮১ সালে চট্রগ্রামে সার্কিট হাউজে সেনাবাহিনীর হাতে জিয়াউর রহমান নৃসংশভাবে খুন হন–তাঁর পূর্ণাঙ্গ দেহাবশেষ পাওয়া যায়নি। কথিত আছ,ঐদিন সেনাসদস্যদের এলোপাতাড়ি গুলাগুলীতে সাধারন মানুষ, বিদ্রোহে অংশগ্রহনকারী সেনাসদস্য ছাড়াও ব্যাপক হারে শৃগাল কুকুরও মৃত্যু মূখে পতিত হয়েছিল। জিয়াউর রহমানের লাশ তাঁর স্ত্রি, পুত্র, স্বজনকে দেখার সুযোগ না দিয়ে কবরস্ত করা হয়েছিল।এতে বাংলাদেশের জনগন সন্দিহান হয়ে পড়ে যে-কফিনে আদৌ জিয়ার লাশ ছিল নাকি কোন কিছুর মাংস পিন্ড ছিল।
জিয়ার মৃত্যুর আগেও পরে দেশী বিদেশী সাংবাদিকগন বিভিন্ন ঘটনা, দলিল, দস্তাবেজ পয্যালোচনা এবং স্বচক্ষে দেখা ঘটনাবলীতে স্থির সিদ্ধান্তে উপনিত হন। মেজর জিয়া মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর পক্ষে চর ছিলেন”। স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাযজ্ঞের অন্যতম নেপৈথ্য নায়ক তৎসময়ের মুক্তিযোদ্ধা সেনাকর্মকর্তা মেজর জিয়াউর রহমান।আমেরিকা যুক্ত রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের বেশ কিছু দলিল দস্তাবেজ তাঁদের সরকারের নিয়মানুযায়ী বিশবছর পূর্তিতে জনসমক্ষে প্রকাশিত হয়। সেখানেও দেখা যায়–দেশী বিদেশী বিশিষ্ট সাংবাদিকদের অভিমতের সঙ্গে উক্ত দলিলে প্রকাশিত তথ্যের হুবহু মিল রয়েছে। সকল মহলের ঐতিহাসিক তথ্য সমূহকে প্রতিষ্ঠিত করে আন্তজাতিকভাবে স্বিকৃত ও জনপ্রিয় বেসরকারী তথ্যভান্ডার সংস্থা “উইকিলিকস”।
উইকিলিকসের তথানুযায়ী দেখা যায়–জিয়া শুধুমাত্র স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাযজ্ঞের নেপৈথ্য নায়কই নন,একজন ঠান্ডা মাথার খুনীও বটে। তিনি ক্ষমতায় থাকালীন সময় যাতে আর কখনও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি মাথাছাড়া দিয়ে উঠার সুযোগ না পায়–সেই চেষ্টায় ব্রতি ছিলেন। তিনি তাঁর উদ্দেশ্য সাধনে হাজার হাজার সেনাকর্মকর্তা রাতের আঁধারে তথাকথিত অভ্যুত্থানের নাটক সাজিয়ে নির্বিচারে হত্যা করেন। শুধু তাই নয়–গুমে’র নাটক সাজিয়ে দেশব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির শতশত নেতা, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, শিক্ষককে হত্যা করেন।
পিতার পদাংক অনুসরণ করে জিয়াপুত্র তারেক রহমান ২০০৪ সালে জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাবস্থায় তৎকালীন বিরুধীদলীয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু এবিন্যুয়ে এক ভয়াবহ গ্রনেড হামলা পরিচালনা করেন।বঙ্গবন্ধুকন্যা আহত হয়ে বেঁচে গেলেও মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী আইভি রহমান সহ ২৯নেতাকর্মী ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং হাজার হাজার নেতাকর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়,পরবর্তিতে হাসপাতালেও বহু নেতাকর্মী মৃত্যু বরণ করেন।
এমতঃবস্থায় ২০০৬ইং সালে চারদলীয় জোট সরকারের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে বাংলাদেশের ক্ষমতার দৃশ্যপটে আসে সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকার। ০১/১১/২০০৬ ইং সালে সেনাসমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এসেই বাংলাদেশকে বিরাজনীতিকরণের উদ্দেশ্যে সকল দলের উপর নিয্যাতন, মামলা, হয়রানীর পথ বেছে নেয়। তিনমাসের ক্ষমতাকে তাঁরা দুইবছর ভোগ করে অবশেষে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচনের ঘোষনা দিতে বাধ্য হয়।
নির্বাচনে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত দল তাঁর কন্যা শেখহাসিনার নেতৃত্বে ভুমিধ্বস বিজয় অর্জন করে সরকারে আসে। সরকারে বসেই তাঁরা তাঁদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধে বিরুধীতাকারী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গিকার অনুযায়ী অতীতের সকল চাঞ্চল্য্যকর হত্যাকান্ডের বিচার এবং দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অঙ্গিকার পূরণে তত্বাবধায়ক সরকার কতৃক আনিত মামলা সমূহ সহ অন্যান্ন সরকারের আনিত মামলাগুলী বিচারকায্য সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহন করেন।
বিচার প্রক্রিয়ার কিয়দংশ কায্যকরের পুর্বেই জিয়া পরিবার সহ, দোর্দন্ড প্রতাপের অধিকারী জামায়াতে ইসলামী শীর্ষ নেতৃবৃন্দ দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে আইনগতভাবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। তাঁরা দিকবিদিক জ্ঞানশুন্য হয়ে অনেকে বিদেশে পালিয়ে যায়,কেউ কেউ আদালতের দন্ডভোগ করে পরপারে চলে যায়।বিএনপি এবং জামায়াতের দেশব্যাপী লক্ষলক্ষ অনুসারী থাকা সত্বেও বিগত দশ বছরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। জামায়াতের শীর্ষনেতাদের দম্ভে একসময় বাংলাদেশের বনে জঙ্গলেও বাঘে মহিষে একঘাটে জল খেতে বাধ্য হয়েছে। ফাঁসীতে মৃত্যু নিশ্চিত হলে সেই সমস্ত দাম্বিক নেতাদের অনেকের জানাজায় তাঁর সমাজবাসীও অংশ গ্রহন করেনি। ঐসমস্ত যুদ্ধাপরাধীদের পরিবারের খবর এখন আর একান্ত আত্মিয় পরিজনেরাও রাখার চেষ্টা করেনা।
মেজর জিয়া ভারতীয় উপমহাদেশের মীর্জাপর খ্যাত ‘মীর জাপর আলী’র পথ অনুসরণ করে মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। তাঁর দ্বিতীয়পুত্র কোকো মির্জাপর পুত্র “মীর কাশেম” এর পদাংক অনুসরন করে পলাতক অবস্থায় মালয়েশিয়ার জঙ্গলে বেঘোরে মৃত্যুবরণ করেছে। জিয়াপত্নি “বেগম খালেদা জিয়া” ভারতীয় উপমহাদেশের “ঘসেটি বেগম” এর পদাংক অনুসারে বাংলাদেশের জেলখানায় হাত, পা সহ বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নিত্য অবসন্ন হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। মেজর জিয়ার জৈষ্ঠপুত্র জনাব “তারেক রহমান” ভারতীয় উপমহাদেশের কুখ্যাত বেঈমান ধনবীর “জগৎ শেঠ” এর পদাংক অনুসরণ করে উন্নত দেশে পালিয়ে আছেন। তাঁর, পরিণতি মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কিভাবে করেন তাঁর জন্যে আরো কিছুকাল হয়ত অপেক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশের বৈষয়িক আদালতে বেশ কয়েকটি দুর্নীতি ও হত্যা মামলায় ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ বছরের অধিক জেলের দন্ড সে পেয়েছে। হয়তো বা চলমান আরো বহু মামলায় তাঁর শতবছর দন্ডপ্রাপ্তি বা মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত হলেও আশ্চায্যের কিছুই থাকবেনা।
কথায় আছে–হত্যা মামলার সাক্ষি পানির বুদবুদ শব্দেও দিয়ে থাকে। দেশে বিদেশে, গ্রামে গঞ্জে, পাহাড়ে পর্বতে, সমুদ্রে বা আকাশে এযাবৎকাল যত হত্যাকান্ডই ঘটেছে–শেষপয্যন্ত প্রায় সকল হত্যাকান্ডের তথ্যই প্রকাশ পেয়েছে। হত্যাকারী দুনিয়ার আদালতের বিচারে দন্ড পেয়েছেই, মহান সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত শাস্তিও বংশানুক্রমেই পেয়েছে। আল্লাহ প্রদত্ত শাস্তি হয়ত বা আমরা অনেকেই স্বিকার করার মানষিকতা রাখিনা।
আমাদের প্রিয়নবী হযরত মহাম্মদ (সঃ) এর পুর্বে যত নবী বা রাসুল দুনিয়াতে এসেছেন, তাঁদের শত্রুদের মহান আল্লাহ কঠিন শাস্তি প্রদানের কথা তাঁর সর্বশেষ পবিত্র কিতাব কোরানে বর্ণনা করেছেন। প্রত্যেকটি অক্ষর, বর্ণনা প্রত্যেক মসুলমান দৃডভাবে বিশ্বাস করে, করি। ভারতীয় উপমহাদেশের বেঈমানদের অপকর্ম সমুহের বিচার বৈসয়িক আদালতে নিশ্চিত হওয়া সত্বেও প্রকৃতি (আল্লাহ) প্রদত্ত শাস্তির ইতিহাস সকল মহলের জানা আছে। ভারতীয় উপমহাদেশে বসবাসরতঃ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সহ ৩৬ জাতির প্রত্যেক নাগরিক ঐসমস্ত বেঈমান, খুনীদের ঘৃনা করে, অভিশাপ বর্ষন করে থাকে।
ভারত এবং পাকিস্তান দুটি আলাদা রাষ্ট্র স্বাধীনতা পাওয়ার পর ইংরেজদের দালাল অত্রাঞ্চলের লক্ষ লক্ষ জমিদারের জমিদারী বাজেয়াপ্ত হয়েছে।তাঁরাও রাতারাতি সাধারন নাগরিকে পরিণত হয়ে জীবনযাপন করতে বাধ্য হয়েছিলেন। লক্ষলক্ষ জমিদার বাড়ীর উত্তরাধিকার নাথাকায় আজও পরিত্যাক্ত পড়ে আছে। তাঁরাও জমিদারী হারিয়ে বৈসয়িক শাস্তি ও উত্তরাধিকার হারিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার শাস্তি পেয়েছেন–দিব্যচোখেই দেখা যায়।
বাংলাদেশের বিরুধীতাকারী যুদ্ধাপরাধী অনেকেরই ইতিমধ্যে বিচারকায্য শেষ হয়ে দন্ড পেয়েছে। অনেকের বিচার এখনও চলমান। খুনীদের বিচারকায্য প্রায় শেষ পয্যায়, অনেকগুলীর বিচার চলমান রয়েছে। মহান সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত শাস্তি ইতিমধ্যে দৃশ্যমান। তাঁদের সমর্থকেরা হয়ত স্বিকার করবেনা, মীর জাপর আলী খাঁর আল্লাহ প্রদত্ত শাস্তিও একশত বছর ভারতীয় উপমহাদেশের নাগরিকেরা স্বিকার করেনি।শতবছর পর যে ঘৃনার বহ্নিশিখা জ্বলে উঠেছে সে শিখা অনন্তকাল নেভার কোন সম্ভাবনা নেই।
পুর্বের নবী, রাসূলদের এবং দেশ ও জনগনের শত্রুদের প্রতি শাসক কতৃক বৈষয়িক শাস্তি সহ আল্লাহ প্রদত্ত শাস্তি নিশ্চিতের পর যুগেযুগে কালেকালে দেশেদেশে তাঁরা সকলেই ইতিহাসে ঘৃনিত, নিকৃষ্ট ব্যাক্তি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বাংলাদেশের বিরুধীতাকারী এবং খুনীদেরও শাসক কতৃক বৈষয়িক বিচারকায্য সমাপন হচ্ছে,হবে।ইতিমধ্যেই মহান আল্লাহর প্রদত্ত শাস্তিও জনগনের সামনে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। ইতিহাসবীদ গন আগামী প্রজম্মের ইতিহাসে উল্লেখিত ব্যাক্তিদের ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ড, খুনের বিবরণ, দুনিয়ার আদালতের প্রাপ্ত শাস্তি ও মহান আল্লাহ কতৃক প্রদত্ত শাস্তি তুলে ধরবে। প্রত্যেকের করুন পরিণতির ইতিহাস আগামী প্রজম্মের চোখে ভেশে উঠার পর কেবলমাত্র অতীতের মির্জাপর, বেঈমানদের ন্যায় তাঁদের প্রতিও প্রজম্ম হতে প্রজম্মান্তরে ঘৃনা,অভিশাপ বর্ষিত হতে থাকবে। ইতিহাস কোনদিনও মিথ্যা হয়না, ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনা। ইতিহাস চলমান, বলপ্রয়োগে সাময়িক রুদ্ধ করা সম্ভব–“পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংকোচন, বিয়োজন সম্ভব নয়”।
ইহাই ইতিহাসের ধর্ম।

রুহুল আমিন মজুমদার,সম্পাদক,লেখক,কলামিষ্ট






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*