প্রাণের ৭১

রাজশাহীতে শ্যালিকা ধর্ষণ মামলার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় শ্যালিকাকে ধর্ষণকারী এখলাস আলী (২০) র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২১ জুলাই) ভোররাতে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

 

সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া শ্যালিকা ইভাকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যা প্ররোচণা মামলার আসামি ছিলেন এখলাস। পুঠিয়ার গন্ডগোহালী গ্রামের কাশেমের ছেলে তিনি।

 

র‌্যাব জানায়, এখলাস মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। মাদকবিরোধী অভিযান চালাতে গিয়ে মঙ্গলবার ভোরে পীরগাছা গ্রামে র‌্যাব তাকে আটক করার চেষ্টা করলে তিনি গুলি চালান। এসময় আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালালে এখলাস গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে পুঠিয়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ওয়ান শুটারগান ও ৪৮০ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে।

 

জানা যায়, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ইভা তার বড় ভগ্নিপতি এখলাস আলীর বাড়িতে বেড়াতে যায়। এই সুযোগে এখলাস আলী জুসের মধ্যে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন অবস্থায় তার শ্যালিকাকে ধর্ষণ করে। পরে ইভা বড় বোন শোভাকেকে সব খুলে বলে। শোভা বিষয়টি স্বামী এখলাসের কাছে জানতে চাইলে তাকে উল্টো তালাকের ভয় দেখানো হয়। এ নিয়ে গ্রামে সালিশবৈঠকও হয়।

 

এর দুদিন পর গত ৯ এপ্রিল দুপুরে পুঠিয়ার রামজীবনপুর গ্রামের নিজ বাড়ি ফিরে লোকলজ্জায় ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ইভা আত্মহত্যা করে।

 

এ ঘটনায় এখলাস আলী ও তার বাবা-মাকে আসামি করে পুঠিয়া থানায় মামলা করা হয়। ইভা রাজশাহীর পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। ধর্ষণের শিকার ইভা খাতুনের আত্মহত্যার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও আসামিদের গ্রেপ্তার করতে না পারায় এ ঘটনায় বিচারের দাবি নিয়ে অবশেষে রাস্তায় নামে তার হতভাগা বাবা।

 

পুঠিয়া থানার ওসি রেজাউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে এখলাস আলীর মরদেহ পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রাখা হয়েছে।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*