প্রাণের ৭১

রোনালদোর হ্যাট্রিক, পর্তুগাল-স্পেন ম্যাচ ড্র

রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল ও ২০১০ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেনের মধ্যকার ম্যাচ ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছে। পর্তুগালের পক্ষে তিনটি গোলই করেন দেশটির সেরা তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।

ম্যাচের শুরুতেই নিজেদের করা ভুলে প্রথম গোল হজম করে স্পেন। ডি-বক্সে বল নিয়ে এগুচ্ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কিন্তু বলে শট করার সুযোগ দেননি স্পেনের নাচো। রোনালদোকে ফেলে দিলেন স্পর্শকাতর জায়গায়।

ম্যাচ রেফারিও দেরি করেননি। সঙ্গে সঙ্গে বাজিয়ে দিলেন বাঁশি। সিদ্ধান্ত দেন পেনাল্টির। আর ঠেকায় কে সি আর সেভেনকে। পেনাল্টিতে গোল দিয়ে এগিয়ে দেন পর্তুগালকে।

বিশ্বকাপ ইতিহাসের ৪র্থ ফুটবলার হিসেবে ৪টি বিশ্বকাপে গোল করলেন রোনালদো। পাশাপাশি প্রথম ফুটবলার হিসেবে টানা আটটি মেজর টুর্নামেন্টে পর্তুগালের জার্সি গায়ে গোল করার কৃতিত্ব দেখালেন তিনি।

ম্যাচের ১০ মিনিটেই গোল শোধের সুযোগ পেয়েছিল স্পেন কিন্তু আলবার কাছ থেকে বল পেলেও সেটি গোলবারের ওপর দিয়ে মারেন ডেভিড সিলভা। ম্যাচের ২৪ মিনিটেই স্পেনকে সমতায় ফেরান ডিয়েগো কস্তা। ডি বক্সের সামান্য বাইরে বল পেয়ে ভেতরে ঢুকে দুই ডিফেন্ডারকে নাকানি চুবানি খাইয়ে প্যাট্রিসিওকে বোকা বানিয়ে ডান কর্নারে বল পাঠান কস্তা। নিজের বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম অন টার্গেট শটেই গোল করলেন কস্তা।

২৬ মিনিটে আবারো এগিয়ে যেতে পারতো স্পেন কিন্তু ডি বক্সের বাইরে থেকে ইস্কোর নেওয়া আচমকা শট গোলবারে লেগে গোললাইন থেকেই ফিরে আসলে গোল বঞ্চিত হয় স্পেন।

ম্যাচের ৩৪ মিনিটে আলবার সাথে সুন্দর বোঝাপড়ায় ইনিয়েস্তা ডি বক্সের ভেতর দুর্বল শট নিলে গোলবারের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায়। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার মাত্র এক মিনিট আগে গুয়েদেসের কাছ থেকে বল পেয়ে রোনালদো বা-পায়ে শট নিলে ডে গিয়ার হাত ফসকে জালে গিয়ে জড়ায়।

নাচো ম্যাচের ৫৮ মিনিটের মাথায় নিজের প্রথম এবং দলীয় তৃতীয় গোল করে এগিয়ে দেন স্পেনকে। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে তখন একটি ফাউলের কারণে ফ্রি-কিক পায় পর্তুগিজরা। ফ্রি-কিরে বলটি রোনালদোর পায়ে। সেখান থেকে সোচা ইনিয়েস্তাদের জালে।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*