প্রাণের ৭১

রোমারিওর পাশে নেইমার

রাশিয়ায় পা রাখার আগে এটাই সবশেষ প্রস্তুতি ম্যাচ ব্রাজিলের। ভিয়েনায় অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা শেষ করেই বিশ্বকাপের মঞ্চে ঢুকে পড়বে ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ইউরোপের প্রস্তুতি পর্বটা ভালভাবেই শেষ করে উত্তুঙ্গ আত্মবিশ্বাস নিয়েই রাশিয়ায় পা রাখতে যাচ্ছে তিতের দল। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ‘সেলেসাও’দের জয় ৩-০ গোলে। চোট থেকে সেরে ওঠার পর এই ম্যাচেই একদম শুরুর একাদশে ছিলেন নেইমার। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে নেইমার মাঠে নেমেছিলেন দ্বিতীয়ার্ধে। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে ব্রাজিলের প্রথম গোলটা করেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস। মার্সেলোর দূরপাল্লার শট থেকে বল পেয়ে গোল করেন জেসুস। দ্বিতীয়ার্ধে নেইমার ম্যাচের ৬৩ মিনিটে গোল করে চোট থেকে ফেরার পর টানা ২ ম্যাচেই পেলেন গোলের দেখা। এই গোলে ৫৫ গোল নিয়ে রোমারিওর পাশে নেইমার। ব্রাজিলের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলের কীর্তি এটা। ৭২ গোল নিয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে পেলে। খানিকবাদেই স্কোরলাইন ৩-০ করেন ফিলিপে কৌতিনিয়ো। এই নিয়ে ব্রাজিলের আক্রমণভাগের তিনজনই গোলের দেখা পেয়ে গেলেন এই ম্যাচ। তাই বলা যায় প্রস্তুতিটা হয়েছে দারুণ!

বিশ্বকাপের আগে বড় ধাক্কা ফ্রান্সের। রাশিয়ায় সুযোগ না পাওয়া যুক্তরাষ্ট্র ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে ’৯৮-র চ্যাম্পিয়নদের। শুরুতে গোল হজম করা ফ্রান্সের হয়ে ৭৮ মিনিটে সমতা ফেরান কিলিয়ান এমবাপ্পে। স্পেনকেও প্রায় আটকে ফেলেছিল তিউনিসিয়া। ৮৪ মিনিটে ইয়াগো আসপাসের লক্ষ্যভেদে ১-০ ব্যবধানের জয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। তবে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে সহজ জয় সার্বিয়ার। আলেকজান্দার মিত্রোভিচের হ্যাটট্রিকে বলিভিয়াকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ব্রাজিলের গ্রুপে থাকা এই দল। তবে গোলশূন্য ড্র করেছে পেরু ও সুইডেন। আর মরক্কো ৩-১ গোলে এস্তোনিয়াকে আর অস্ট্রেলিয়া ২-১ গোলে হারিয়েছে একসময়ের পরাশক্তি হাঙ্গেরিকে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে দাপট ছিল ফ্রান্সেরই। ৬৯ শতাংশ বলের দখল রেখে পোস্টে ১৯টি শট নিয়েছিল তারা। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র পোস্টে দুটি শট নিয়েই গোল পেয়ে যায় একটি, তাও ফরাসি ডিফেন্সের ভুলে। ডান দিক দিয়ে আসা সাধারণ একটি ক্রস বিপদমুক্ত করতে পারেননি স্যামুয়েল উমতিতি। অপ্রত্যাশিতভাবে সেটা সামনে পেয়ে উমতিতিরই পায়ের ফাঁক দিয়ে নেওয়া শটে জালে জড়িয়ে দেন জুলিয়ান গ্রিন। ৭৮ মিনিটে বাঁজামা পাভার্দের পাস থেকে নিচু শটে সমতা ফেরান এমবাপ্পে। এ ছাড়া পল পগবার শট ফিরে এসেছিল পোস্টে লেগে। আর আন্তোয়ান গ্রিয়েজমানের শট অল্পের জন্য যায় বাইরে দিয়ে।

পর্তুগালকে রুখে দেওয়া তিউনিসিয়া ভোঁতা করে ফেলেছিল স্পেনের আক্রমণও। ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়নদের পায়ে বল বেশি থাকলেও পোস্টের সামনে তেমন কিছু করতে পারছিলেন না কেউ। শেষ পর্যন্ত ৮৪ মিনিটে ডিয়েগো কস্তার ব্যাকপাস পেয়ে লক্ষ্যভেদ বদলি খেলোয়াড় ডিয়েগো আসপাসের। ফিফা






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*