প্রাণের ৭১

লেবাননে এক দশক পর জাতীয় নির্বাচন

লেবাননে দীর্ঘ এক দশক পর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ রোববার স্থানীয় সময় সকাল থেকে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

লেবাননে প্রতি চার বছর পর জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ২০০৯ সালের পর দেশটিতে প্রথম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে সংসদ দুই দফায় ক্ষমতার মেয়াদ বাড়িয়েছে। এর কারণ হিসেবে নির্বাচনী নীতি সংস্কার এবং পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়ায় চলমান সংকটকে দেখানো হয়েছে।

লেবাননে এবারের নির্বাচনী ব্যবস্থায় পরিবর্তনে আনা হয়েছে। কমানো হয়েছে আসন সংখ্যা, এবার নির্বাচনী আসন ১২৮টি। সেই সঙ্গে প্রথম বারের মতো বিদেশে অবস্থানরত লেবানিজরা নির্বাচনে ভোট দিয়ে অংশ নিতে পারবে। ইতোমধ্যেই ১০ হাজার লেবানিজ প্রবাসী ভোট প্রদান করেছেন।

ধারণা করা হচ্ছে সোমবার কিংবা মঙ্গলবার নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল জানা যাবে। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন রোববার রাতেই নির্বাচনের ফলাফলের অনানুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।

লেবাননের রাজনীতিতে ধর্মীয় প্রভাব সব সময়ই জোড়ালো। দশটিতে খ্রিস্টান ও মুসলিম নেতাদের ক্ষমতা ভাগাভাগি করে সরকার গঠন করতে দেখা যায়। এমনকি সংসদে খ্রিস্টান এবং মুসলিম প্রতিনিধিদের জন্যও আসন বণ্টনকরা থাকে। দেশটিতে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদের স্পিকারকে অবশ্যই নির্দিষ্ট ধর্মীয় দলের হতে হয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে তাঁরা নির্বাচন পর্যালোচনা করতে লেবাননে পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ক্ষমতাই যারাই আসুক না কেন দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সিরিয়া থেকে পালিয়ে আসা হাজার হাজার শরণার্থী মোকাবেলা বড় চ্যালেঞ্জ হবে।

বাংলা ইনসাইডার/ডিজি/জেডএ






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*