প্রাণের ৭১

শ্রমিকদের ধর্মঘটে চালকদের মুখে কালি!

‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ সংস্কারসহ ৮ দফা দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে সারা দেশে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক বন্ধ রয়েছে। রাজধানীর আন্তঃনগর টার্মিনালগুলো থেকে কোনো বাস ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি। রাজধানী ঢাকায়ও বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। বিআরটিসির দুএকটি বাস চললেও তা নিতান্তই অপ্রতুল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ জনগণ। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এদিকে পরিবহন শ্রমিকরা এই কর্মসূচিকে কর্মবিরতি বললেও রবিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে বাসটার্মিনালগুলোর আশপাশে ধর্মঘটের সমর্থনে তাদের উশৃঙ্খল আচরণ চোখে পড়ে। বিশেষ করে সায়েদাবাদ, গাবতলী, গুলিস্তান ও মহাখালী বাসটার্মিনাল ও আশপাশের এলাকায় তারা দলবদ্ধভাবে প্রাইভেটকার, অটোরিকশা, রিকশা, মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি অনেক যাত্রী ও চালকের মুখ, কাপড়ে গাড়ির ব্যবহৃত ইঞ্জিন অয়েল (পোড়া মবিল) লাগিয়ে দেয় তারা।

গাবতলী ডিপোর ব্যবস্থাপক মো. মনিরুজ্জামান অভিযোগ করেন, পরিবহনশ্রমিকরা গাড়িগুলোকে পথে আটকে দিচ্ছে। সকাল থেকে অনেকগুলো বাস ছাড়া হলেও সেগুলো পথের বিভিন্ন জায়গায় আটকে আছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে গুলিস্তান, মতিঝিলগামী কোনো যানবাহন চলছে না। মাঝে মধ্যে দু’একটা ব্যাটারি চালিত রিকশাভ্যান চললেও সেগুলো যাত্রাবাড়ীর আগেই কাজলা এলাকায় যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে। যানবাহন না পেয়ে এ সময় হাজার হাজার মানুষকে হেঁটেই নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।

গত শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পরিবহন শ্রমিক সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। অপরদিকে বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*