প্রাণের ৭১

সময় দিন বাড়ির প্রবীণদের

বার্ধক্য এলে শরীর আর মনে নেমে আসে অবসাদ। বয়স্ক হয়ে গেলে নিজের কাছের মানুষগুলোর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়, মনের মধ্যে তৈরি হয় হীনমন্যতা। পরিবারের অন্য সদস্যেরাও তাদের সময় দেন না ঠিকমতো, ফলে একাকীত্ব নেমে আসে। মন খারাপ করে থাকতে থাকতে শরীরেও নেমে আসে নানা রোগ ব্যাধি। কিন্তু তার সন্তান আর পরিবারের সদস্যদের বোঝা উচিৎ যে বার্ধক্য অপ্রত্যাশিত কিছু নয়। তাই তাদেরকে আলাদা সময় দেওয়া উচিৎ, আলাদা করে প্রাধান্য দেওয়া উচিৎ। কীভাবে তাদের অবসাদকে কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবেন তা দেখে নিই একবার:

গান শোনার সুযোগ

তাদের হাতের কাছে গান শোনার মতো কিছু দিন। মন খারাপ হলে যাতে পছন্দের গান শুনতে পারে। যে গান হয়তো তরুণ বয়সে তাঁকে আন্দোলিত করতো।

পড়তে সুযোগ করে দিন

আশেপাশের লাইব্রেরিতে নিয়মিত বই পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন। এতে করে বই পড়ার ইচ্ছা তৈরি হবে, সময় কাটবে। নিজে বই পাল্টে নিয়ে আসবে, এতে করে বাইরে বের হওয়া হবে। আশেপাশের মানুষের সঙ্গে দেখা হবে, কথাবার্তা হলে মনটাও হালকা হবে। এছাড়া বাড়িতেই পড়ার পরিবেশ তৈরি করে দিতে পারেন।

তাদের কথা শুনুন, সময় দিন

বয়সের ভারে একটু এলোমেলো বকার প্রবণতা তৈরি হতে পারে। এরকম হলে কখনো তাদের থামিয়ে দেবেন না। তাঁদের আত্মসম্মানে লাগতে পারে, নিজেদের গুটিয়ে নিতে পারেন। তাই তাদের প্রতিদিন  অন্তত আধ ঘণ্টা করে আলাদা সময় দিন। এতে করে তাঁরা অনেকটাই হালকা হতে শুরু করবেন।

ভালো চিকিৎসা

ঘুম বা শারীরিক অসুবিধা থাকলে প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে হালকা ঘুমের ওষুধ দিতে পারেন|

কখনো একা নয়

কখনও একা, অন্ধকার ঘরে চুপচাপ বসে থাকতে দেবেন না| এতে অবসাদ আরও বেশি হবে। তাদের সবসময় নিজেদের মধ্যে রাখুন। কথা বলুক না বলুক, সবার মাঝখানে রাখুন। অনেক সময় অন্যের কথা শুনলেও মন ভালো হয়ে যায়।

সিদ্ধান্ত নিন

কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বড়দের ডাকুন, তাঁদেরও মতামত নিন। এতে তাঁরা বুঝবেন যে বয়স বাড়লেও তাঁদের গুরুত্ব কমেনি|

কাজের দায়িত্ব দিন

বড় কাজ করতে না পারলেও বাড়ির ছোটো ছোটো কাজের দায়িত্ব অনায়াসে দিতে পারেন তাদের। এতে তারা অনেক খুশি হবে। আপনারও দায়িত্ব অনেকটা কমে যাবে।

নাতি-নাতনিদের দায়িত্ব দিন

তাঁরা আর কিছু পারুক বা না পারুক, নাতি-নাতনির দায়িত্ব বেশ ভালো সামলাতে পারেন। সেই দায়িত্ব দিয়ে তাঁর মুখে হাসি ফোটানো সম্ভব। এতে করে পরম্পরা বজায় থাকবে ভালো থাকবে।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*