প্রাণের ৭১

সাহেরখালী তহসিল অফিস: তহসিলদার পিয়ন আর মেম্বারের হাতে জিম্মি সাধারণ মানুষ

মোহাম্মদ হাসানঃ দেশের ভূমি অফিসগুলোয় যথেষ্ট দুর্নীতি আছে বলে ২০১৭ সালের শেষ অক্টোবর মন্তব্য করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয় তহসিল অফিসে।

দেশব্যাপী সরকারের উন্নয়ন মহাযজ্ঞে ভূমি অধিগ্রহণের সম্পর্ক নিবিড় হলেও অধিগ্রহণের ক্ষতিপ‚রণের টাকা পাওয়া নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের শেষ নেই। বছরের পর বছর ঘুরেও অধিগ্রহণের টাকা হাতে পান না ভুক্তভোগীরা। সারা দেশে ভূমি অফিসকেন্দ্রিক দুর্নীতি, জালিয়াতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে জমির প্রকৃত মালিকরা দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

ইতিমধ্যে দেশের অন্যতম অর্থনৈতিক অঞ্চল, চট্টগ্রামের মীরসরাই বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরী এলাকায় বেশ কিছু জায়গা অধিগ্রহণ করাহলে খতিগ্রস্থরা অধিগ্রহণের টাকা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাজে যেতে হয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসে (তহসিল অফিস)। আর সেখানেই যেন বসানো হয়েছে টোলঘর। দিনের পর দিন ঘুরেও খাজনা জমা দিয়ে দাখিলা সংগ্রহ করতে পারছেননা সাধারণ মানুষ। আবার কেউ ঘুষের বিনিময়ে এক মুহূর্তে তা সেরে ফেলছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী ভুক্তভোগী জানান, গত সাড়ে তিন মাসে অনেকবার এসেও সাহেরখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিস বা তহসিল অফিসে খাজনা জমা দিয়ে দাখিলা সংগ্রহ করতে পারিনি। এখানের একজন পিয়ন মঞ্জু ও এলাকার একজন মেম্বার (আজাদ মেম্বার) এদের বকাঝকা লাঞ্চনা বঞ্চনার শিকার হয়েছি একাধিকবার। তারা এখানে সিরিয়াল নম্বর দেয় আর সে সিরিয়াল শেষ হয়না।

এমন অনেক ভুক্তভোগী এমন অভিযোগ করে বলেন, সাহেরখালী তহসিল অফিসের তহসিলদার মঞ্জু, পিয়ন মঞ্জু আর এলাকার মেম্বার আজাদ এ তিন জনে মিলে এখানে দূর্নীতি অনিয়মের রামরাজত্ব কায়েম করছেন। তারা ধরাকে সরা জ্ঞান করে যে ভাবে খুশি সে ভাবে মানুষকে হয়রানি ঘুষ আদায় সহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে অবলীলায় যেন দেখার কেউ নেই।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*